নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় উপত্যকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী। বুধবার টুইট রাহুল বলেন, ‘’কাশ্মীরে প্রতিনিয়তই হিংসার ঘটনা বেড়ে চলছে। নোটবন্দি থেকে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি করণ সব কিছু করেও কাশ্মীরে নিরাপত্তা জোরদার করতে ব্যর্থ কেন্দ্র। কাশ্মীরে আমাদের ভাই-বোনেদের ওপর হামলার ঘটনাগুলির কড়া নিন্দা করছি। মৃতদের পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা । ’’
বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে দুজন শিক্ষকের। তাঁদের মধ্যে একজন শিখ ও একজন হিন্দু পণ্ডিত বলে জানা গিয়েছে। মৃতেরা হলেন সতিন্দর কোর ও দীপক চাঁদ । এদিন শ্রীনগরের ঈদগাহ এলাকায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই নিয়ে গত দুদিনে পাঁচ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাল। গত মঙ্গলবার ইকবাল পার্ক এলাকায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয় এক ব্যক্তিকে । এছাড়াও হাওয়ালা পার্ক এলাকায় একাধিক স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও জঙ্গি নাশকতায় প্রাণ হারান। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়ায় উপত্যকা জুড়ে । সাধারন মানুষের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা । তার দু’দিন পেরোতে না পেরোতেই এদিন শিক্ষক হত্যার ঘটনা ফের উপত্যকার নিরাপত্তার ফাঁকফোকর নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল । এমনটাই ধারনা ওয়াকিবহাল মহলের ।
আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, জঙ্গিদের গুলিতে নিহত দুই শিক্ষক
कश्मीर में हिंसा की घटनाएँ बढ़ती जा रही हैं। आतंकवाद ना तो नोटबंदी से रुका ना धारा 370 हटाने से- केंद्र सरकार सुरक्षा देने में पूरी तरह असफ़ल रही है।
हमारे कश्मीरी भाई-बहनों पर हो रहे इन हमलों की हम कड़ी निंदा करते हैं व मृतकों के परिवारों को शोक संवेदनाएँ भेजते हैं।#Kashmir
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) October 7, 2021
১৯৯০ সালে গোড়া থেকেই উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়। প্রায় দু’দশকে পেরিয়ে গেলেও কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ঠ সন্ত্রাসবাদের ধারা অব্যাহত। কেন্দ্রের ক্ষমতায় নরেন্দ্র মোদি আসার পরেই সন্ত্রাস প্রতিরোধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পাশাপাশি নোটবন্দীর সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৬ সালে সেই নোটবন্দীর পরও কার্যত বন্ধ হয়নি উরি কিংবা পুলওয়ামার মতো ঘটনা।
আরও পড়ুন: লখিমপুর নিয়ে বরুণের টুইটের জের? বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ মা-ছেলে
২০১৯ সালে অগাস্ট মাসে ৩৭০ ধারা তুলে নেয় মোদি সরকার। যার উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের সায়ত্ত্বশাসনের ব্যবস্থাকে স্থগিত করে আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রনাধীনে আনা । এসবের পরেও উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা কমেনি। সম্প্রতি শ্রীনগরে লাগাতার জঙ্গিহানার ঘটনা সেই বিষয়টিকে আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। যা নিয়ে ফের সরব রাজনৈতিকমহল ।