ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গল ঘেরা বিরিহাঁড়ি গ্রাম। এক সময় মাওবাদী প্রভাবিত ছিল এই গ্রাম।বিরিহাঁড়িতে মাওবাদী নেতাদের বেদি পর্যন্ত বানানো হয়েছিল। এখন আর মাও আতঙ্ক নেই, স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে এই গ্রাম। এবারের পুজোতে বিরিহাঁড়ির পুজো মণ্ডপ সেজে উঠছে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির বিভিন্ন প্রকল্পের সাজে।
আরও পড়ুন : ইতিহাস আর স্থাপত্যকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি উঠল ঝাড়গ্রামে
পুজোর থিমের নাম দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে বিরিহাঁড়ির দূরত্ব প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার। ঝাড়গ্রাম শহরের নামী স্কুল কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউটের আদলে হচ্ছে মণ্ডপ। কোনও স্কুল বা সরকারি কোন ভবন থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে দেওয়া হয়। তাই এই স্কুল ভবনের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। সেই মণ্ডপে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, রূপোশ্রী, লক্ষীর ভাণ্ডারের মতো বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা দিতে তৈরি হচ্ছে একাধিক কাউন্টার। আর কয়েক দিন বাদেই পুজো। তাই জোরকদমে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। এ প্রসঙ্গে বিরিহাঁড়ি পুজো কমিটির সদস্য জয়ন্ত মাহাত বলেন, “রাজ্যের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সব কিছুই থাকবে মণ্ডপের অন্দরে। সাধারণ মানুষজন রাজ্য সরকারের যে প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন, সেটা আমাদের পুজোর থিম। লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প মানুষের মধ্যে সব থেকে বেশি আলোড়ন ফেলেছে। মানুষ এই প্রকল্পের ব্যপারে উৎসাহীত হয়েছেন। আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাই থিমের নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রাখা হয়েছে।” কিন্তু কেন এই থিম? এপ্রসঙ্গে সৌম্য মাহাত বলেন, “দুয়ারে সরকার রাজ্য সরকারের খুব ভাল প্রচেষ্টা। এতে অনুপ্রাণিত হয়ে দুয়ারে সরকারকে পুজোর থিম হিসাবে নির্বাচন করেছি আমরা। জানি মানুষজনের ভিড় হবে। তাই অনেকটা ফাঁকা জায়গা নিয়ে পুজো মণ্ডপ হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে সেচ্ছাসেবকের সংখ্যাও। করোনা বিধি মেনেই সব হবে।” প্রতি বছর এই কমিটি নতুন নতুন থিমের পুজো উপহার দেন দর্শকদের।