মাদক সেবন বলিউডে অতি পরিচিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। কিছু কিছু বলিউড তারকাদের সঙ্গে তাঁদের সন্তানরা পাল্লা দিয়ে নিয়মিত মাদক সেবনে উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। বলিউড বাদশা-পুত্র আরিয়ানের গ্রেফতারের পরে তা যেন আবার নতুন করে প্রমাণিত হলো।
প্রমোদতরীতে শাহরুখ-পুত্র ও তার বন্ধুরা যেভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ে যাচ্ছিল তা এখন সারা দেশের সংবাদমাধ্যমের রোজকার শিরোনামে চলে এসেছে।
বলিউডে শুধু তারকা সন্তানেরা নয় বিভিন্ন সময় নামিদামি তারকাদের নামও উঠে এসেছে মাদকাসক্তদের তালিকায়। এমনকি গ্রেফতারও করা হয়েছে তাদের। সেই তালিকায় বলিউডের অন্যান্য স্টারদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে শাহরুখ খানেরও। স্টার এবং স্টারকিড ছাড়াও মাদক সেবনে নাম জড়িয়েছে তাঁদের ঘরনীদেরও। হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজানা খানের নাম জড়িয়েছে মাদক সেবনের সঙ্গে। তাছাড়াও শাহরুখ- পত্নী গৌরী খানের সঙ্গে মাদক সেবনের যোগ আছে বলে অনেকেরই ধারণা। এমনকি শোনা গিয়েছিল ২০১১ সালে তাকে নাকি ‘মারিজুয়ানা’ অর্থাৎ একটি বিশেষ ধরনের গাঁজা সমেত বার্লিন বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছিল।সম্ভবত সেই সময়ই বার্লিন শহরে চলছিল শাহরুখ খানের ‘ডন ২’ ছবির শ্যুটিং।
পরবর্তীকালে অবশ্য গৌরী একটি লাইফ-স্টাইল ম্যাগাজিন এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমন ঘটনার কথা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এরকম কোনোও ঘটনাই ঘটেনি। যদিও এ ব্যাপারে সরকারি কোনো বিবৃতি বার্লিন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়নি।এই ঘটনা চেপে যাওয়ার পেছনে অনেকেই নাকি শাহরুখের হাত দেখতে পায়। অনেকেই সেই সময় মনে করেছিলেন শাহরুখ জার্মানিতে যথেষ্ট জনপ্রিয়। বহুবার তিনি বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছেন। তার ছবি দেখানও হয়েছে উৎসবে। দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর বার্লিন শহরে থাকা এক বাঙালি মহিলা কবি টেলিফোনে জানিয়েছেন, এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করা খুবই কঠিন। কিন্তু সেই সময় এমন ঘটনার কথা আমরা বার্লিনে বসেও শুনতে পেয়েছিলাম। একইসঙ্গে অবশ্য তিনি বলেন, এদেশে মাদক আইন যথেষ্ট কঠোর।
শাহরুখ-গৌরী বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে