সোমবার রাত থেকেই বিশ্বজুড়ে স্তব্ধ হয়ে যায় ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ইন্সটাগ্রামের মতন সোশ্যাল সাইটগুলি। এই মুহূর্তে টুইটারই একমাত্র বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যারা এই পরিস্থিতিতে সক্রিয় রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াগুলি স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার কথা জানতে পারলে অগত্যা হাল ছেড়ে অফলাইনে দুনিয়ায় প্রবেশ করে সাধারণ মানুষ। আকস্মিক গোটা বিশ্বে ভার্চুয়াল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় রহস্যের গন্ধ পান অনেকে।
এদিকে ইন্টারনেট শাটডাউন বিষয়টিকে নিয়ে টুইট করেন বিখ্যাত মার্কিন গোয়েন্দা কর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন। তিনি বলেন, “ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ইস্টাগ্রাম একই সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় মানুষকে। এই সংস্থা গুলিকে এক চেটিয়া মালিকানাধীনের বাইরে তিনটি পৃথক সংস্থা করে দিলেই এই সমস্যা হতো না।”
আরও পড়ুন: আড়াই ঘন্টার ওপর বিশ্বজুড়ে স্তব্ধ হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম
Facebook, WhatsApp, and Instagram all going down at the same time sure seems like an easily-understandable and publicly-popular example of why breaking up a certain monopoly into at least three pieces might not be a bad idea.
Somebody should tell Elizabeth Warren.
— Edward Snowden (@Snowden) October 4, 2021
অন্য একটি টুইটে তিনি প্রশ্ন করেন, “আজ যেভাবে সমস্ত ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেল, আর যদি কখনোই না ফিরে আসে, তাহলে আগামীকাল কি হবে?” এখানে থেকে মতামত সুযোগ দিয়েছেন নেটিজেনদের। বহু নেটিজেন ই স্নোডেনের প্রশ্নে রিটুইট করে প্রতুত্তর দেন। এই পরিস্থিতিতে এই দুঁদে মার্কিন গুপ্তচরের টুইটের ইঙ্গিতে রহস্যের আভাস রয়েছে বলে দাবি নেটিজেনদের। যদিও মার্কিন প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
The internet giants go offline today and never return. What happens tomorrow?
— Edward Snowden (@Snowden) October 4, 2021
২০১৩ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর বিরুদ্ধে গোপনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন স্নোডেন। মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত পরিসরে তৎকালীন ওবামা প্রশাসনের অনধিকার প্রবেশ ও নজরদারি সামনে আসতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মার্কিনিরা। শুধু দেশেই নয় অধিকাংশ মিত্র রাষ্ট্রনেতাদের টেলিফোনে আমেরিকা নজরদারি চালায় বলে সরব হয়েছিলেন এই মার্কিন গোয়েন্দা কর্তা।
স্নোডেন
আরও পড়ুন: ফের ‘ভুয়ো’ ছবি, এ বার ভাইরাল আমেরিকার সংবাদপত্রে মোদির ছবি সহ ‘প্রশস্তি’
জার্মান ব্রাজিল সহ একাধিক মিত্রদেশের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওবামা ও বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিনটনকে। স্নোডেনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হলে তিনি আমেরিকা ত্যাগ করেন। এরপর দীর্ঘদিন রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। জোসেফ এডওয়ার্ড স্নোডেনের প্রত্যার্পন কে কেন্দ্র করে রুশ-মার্কিন দ্বৈরথ প্রবল আকার ধারণ করে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ওবামা সম্পর্ক তলানীতে পৌঁছয়।
ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টাগ্রাম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভার্চুয়াল জগতের নতুন রহস্য তৈরি হল। আর সেই রহস্যভেদের চাবিকাঠি টি কী? তা সত্যি কী জানেন এডওয়ার্ড স্নোডেন?