মুখে ব্রণ নিয়ে মেকআপ করা তো সহজ ব্যাপার নয়। মেকআপের কাজে একাধিক সামগ্রীর ব্যবহারে ব্রণর সমস্যা যে আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই নিয়ে ভেবে হতাশ হবেন না। এরও উপায় আছে। যদি ব্রণযুক্ত মুখের জন্য সঠিক মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করেন তা হলে সমস্যার প্রতিকার হবে। আর আপনার সাজ ও ত্বকে দুটোই ভাল থাকবে। তাই অ্যাকনেযুক্ত মুখে মেকআপ সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে এই কাজগুলো অবশ্যই করুন। যেমন-
নন কোমোডোজেনিক মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করুন
এই বিশেষ ধরনের মেকআপ সামগ্রী মুখের রোমকূপ বন্ধ করে না। এর ফলে ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য সমস্যা হয় না। বরং এই নন কোমোডোজেনিক সামগ্রী ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং ব্রণর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
প্রাইমার না লাগালেই নয়
মুখে ব্রণ থাকলে ফাউনডেশন লাগানোর আগে মুখে প্রাইমার লাগান। প্রাইমার ত্বক মসৃণ করে এবং ব্রণ ও ফুসকুড়ি সুন্দর ভাবে ঢেকে দেয়।
সব সময় পরিষ্কার ব্রাশ ব্যবহার করবেন
ব্রাশ পরিষ্কার না থাকলে ব্রণর সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কারণ, আগে ব্যবহার করা ব্রাশে মেকআপের সামগ্রী ও ত্বকের মৃত কোষ লেগে থাকে। তাই ব্রাশ পরিষ্কার না করে ওই ব্রাশ দিয়ে মেকআপ করা মানে ব্যক্টেরিয়ার সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে ব্রণর সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই মাইল্ড সোপ দিয়ে এবং হাল্কা গরম জল দিয়ে ব্রাশটা ভাল করে ধুয়ে নিন। এবং ভাল করে শুকিয়ে নেবেন।
মুখে মেকআপ লাগানোর সময়ে আলতো হাতে মেকআপ লাগান
আলতো হাতে মেকআপ করুন। আপনার মুখ যেহেতু ব্রণ প্রবণ, তাই মুখে মেকআপের সময় বেশি চাপ দিলে ব্রণ আরও বেড়ে যেতে পারে। এই অভ্যেসটা রাখলে দেখবেন মেকআপ করলেও ব্রণ বেড়ে যাওয়ার সমস্যা হবে না।
ওয়াটার বেস্ড মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করুন
মেকআপ সামগ্রী কেনার আগে উপাদানগুলি যাচাই করে নিন। এবং দেখে নিন যে এতে যেন জল থাকে। ওয়াটার বেস্ড মেকআপ সামগ্রীগুলো ত্বকের ওপর চাপ সৃষ্টি করে না। এবং ত্বকে অ্যাকনের সমস্যা থাকলে এই মেকআপে সমস্যা হয় না।