বল হাতে জেমিসনের দাপট এবং ল্যাথাম ও কনওয়ের পার্টনারশিপের সৌজন্যে তৃতীয় দিনের শেষে ব্যাকফুটে ভারত| দিনের শেষে ভারতের ২১৭ রানের জবাবে কিউইদের রান ২ উইকেটে ১০১| ভারতকে টপকাতে এখন ১১৬ রানে পিছিয়ে রয়েছেন কেন উইলিয়ামসনরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে সাউদাম্পটনের এই পিচে ২৫০ রান নিরাপদ ছিল| ভারতও হয়ত তেমনই একটা ছক কষে খেলতে নেমেছিল| কিন্তু জেমিসনের ভয়ঙ্কর স্পেলিংয়ে সমস্ত হিসাব নিকাশ এদিন ভেস্তে যায়| তিনি একাই নিলেন ৫ উইকেট| তৃতীয় দিন চার ঘন্টার মধ্যেই শেষ ভারতের প্রথম ইনিংস| বিরাট কোহলি ও অজিঙ্ক রাহানের ক্রিজে থাকাটাই ভারতকে ভরসা যোগাচ্ছিল| কিন্তু তৃতীয় দিন এক রানও যোগ করতে পারেননি ভারত অধিনায়ক| এদিন জেমিসনের প্রথম শিকার তিনিই| রাহানে চেষ্টা চালালেও ৪৯ রানে তাঁকে প্যাভিয়নের রাস্তা দেখিয়ে দেন ওয়েগনার| এরপর আর কোনও ব্যাটসম্যানই কিউই বোলারদের সামনে তেমনভাবে দাঁড়াতে পারেননি| সময় কাটাতে পারলেও, রানের গতি বাড়াতে পারেননি কেউই| ঋষভ পন্থ ফেরেন ৪ রানে| জাদেজা ১৫ এবং অশ্বিন ২২ রানে ভর করে ২১৭ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে ভারত|
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই দক্ষ হাতে ভারতীয় বোলারদের সামলান টম ল্যাথাম এবং ডেভন কনওয়ে| ওপেনিং পার্টনারশিপটাই যে নিউ জিল্যান্ডের ভিতটা মজবুত করে দিয়ে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না| বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম অর্ধশতরান করেন কনওয়ে| তিনি ফেরেন ৫০ রানে| ল্যাথাম করেন ৩০ রান| যে পিচে কিউই বোলাররা ভয়ঙ্কর দাপট দেখান, সেখানে নিউ জিল্যান্ডের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙতে ইশান্তদের রীতিমত কালঘাম ছোটাতে হয়| ইশান্ত পান একটি এবং আরেকটি উইকেট নেন অশ্বিন| এদিনও অবশ্য খারাপ আলোর জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খেলা হয়নি| সর্বসাকুল্যে ৭৬ ওভার খেলানো সম্ভব হয়| দিনের শেষে ১২ রানে ক্রিজে রয়েছেন কেন উইলিয়ামসন| অন্যদিকে সোমবারও রয়েছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি| যা ভারতের চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে বললেই চলে|