রামপুরহাট: পকসো আইনে অভিযুক্তকে মু্ক্তি দিয়ে অভিযোগকারীকে সাজা দিল আদালত৷ সোমবার বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা আদালতের ঘটনা। মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য এই সাজা ঘোষণা করেন। সরকারি আইনজীবী জানান, মামলার রায়ে অভিযোগকারী মহিলাকে তিনদিনের জেল হেফাজত ও পাঁচশো টাকা জরিমানা করা হয়েছে৷ জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও পাঁচদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর সাত বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ হয় বীরভূমের মুরারই থানায়৷ প্রতিবেশী পৌঢ়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন মুরারই ডুমুরগ্রামের এক বাসিন্দা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পৌঢ়ের বিরুদ্ধে রামপুরহাট মহকুমা আদালতের এডিজে কোর্টে মামলা দায়ের করে মুরারই থানার পুলিশ৷
আরও পড়ুন-মুহাম্মদের ব্যঙ্গচিত্র আঁকা সুইডিশ কার্টুনিস্টের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু
গ্রেফতারের পর বেশ কিছুদিন জেলও খাটেন অভিযুক্ত মেসার সেখ । কিন্তু মামলা চলাকালীন উপযুক্ত সাখ্য প্রমাণ দিতে পারেননি অভিযোগকারী মহিলা। এ কারণে গত সেপ্টেম্বরে মামলা থেকে অভিযুক্তকে মুক্তি দেয় বিচারক। এ দিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য অভিযোগকারী মহিলাকে মিথ্যে মামলা করার অভিযোগে তিন দিনের জেল হেফাজতের ও পাঁচশো টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন ।