লখনউ: লাখিমপুর খেরি হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮। রবিবার এমনটাই জানানো হল লাখিমপুর জেলা প্রশাসনের তরফে। প্রথমে দুজন কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে তা বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা তৈরি হয় কৃষকদের মধ্যে। ঘটনার আঁচ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি প্জাব ও হরিয়ানাতেও সরব হয়ে ওঠে কৃষক থেকে পড়ুয়ারা। রবিবার সন্ধ্যায় পথে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে লাইন করে হেঁটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর বিরদ্ধে প্রতিবাদ জানান তাঁরা।
এই ঘটনায় কৃষকদের প্রতি সমবেদনা জানাতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনে জয়ী হয়েই লাখিমপুর ইস্যুতে কেন্দ্রকে বিঁধতে ঝাপিয়ে পড়েন তৃণমূল নেত্রী। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। পাশাপাশি সোমবার ৫ সদস্যের তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ট্যুইট করে জানান তিনি।
I strongly condemn the barbaric incident in Lakhimpur Kheri. The apathy of @BJP4India towards our farmer brethren pains me deeply.
A delegation of 5 @AITCofficial MPs will be visiting the families of the victims tomorrow. Our farmers will always have our unconditional support.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 3, 2021
এদিকে পঞ্জাবের পাশাপাশি বিক্ষোভের ছোঁয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে নৈনিতাল-দেরাদুন জাতীয় সড়ক। দলে দলে কৃষকেরা জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল। পঞ্জাবের অম্বালাতেও নিহত কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন প্রতিবাদী কৃষকেরা। তাঁদের দাবি শীঘ্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে বরখাস্ত করা হোক অজয় মিশ্র তেনিকে। তিনি ও তাঁর ছেলে অভিযুক্ত আশিষ মিশ্রের বিরুদ্ধে ৩০৩ ধারায় মামলা করা হোক।এবং তৃতীয়ত গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করুক সুপ্রিম কোর্ট।
গোটা ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। আগামীকাল সোমবার লাখিমপুরে যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই রবিবার রাতে লখনউ পৌঁছে গিয়েছেন কংগ্রেস সাধারন সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
লখনউ পৌঁছলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
রবিবার লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কর্মসূচির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। মন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছিল৷ অন্য দিকে, ওই পথ দিয়ে মন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যকে স্বাগত জানাতে যাচ্ছিলেন অজয়ের মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্র৷ অভিযোগ, কৃষকরা অবস্থান বিক্ষোভ থেকে না ওঠায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে তাঁদের উপর গাড়ি চালিয়ে দেয়। শুধু তাই, তিনি গুলিও চালান বলে অভিযোগ৷
উত্তর প্রদেশ ভোটের আগে একদিকে কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে ক্রমেই মাথাব্যাথা বাড়ছে বিজেপির। সেই সময় এবার লাখিমপুরের ঘটনায় বিজেপি বিরোধীদের হাত শক্ত করতে পাল্টা ইন্ধন জোগাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।