উপনির্বাচনে ভবানীপুরে ফের ভরাডুবি বামেদের। রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে বিপুল জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ফল প্রত্যাশিত। ভবানীপুরের রেজাল্ট ব্যতিক্রমী কিছু হবে বলে মনে করেননি বিমান বসু। রবিবার সোনারপুর রাজপুরের রবীন্দ্র ভবনে দলীয় অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানালেন তিনি।
প্রবীণ বাম নেতার কথায়, এবারের ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্রে অনেকেই ভোট দেননি। জঙ্গিপুর সামশেরগঞ্জ যথেষ্ট ভোট হলেও সেখানেও যা হবার তাই হয়েছে। আগের নির্বাচনের মতোই বামেদের ভোটের পার্সেন্টেজ বাড়বে বলে আশা করেননি তিনি। তবে আসন্ন উপনির্বাচনগুলিতে বামেরা জোট করে লড়বে নাকি একা লড়বে সেই বিষয়ে দল এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানান বিমান বসু।
আরও পড়ুন: তিনে তিন তৃণমূল, ভবানীপুরে মমতার হ্যাট্রিক
আগের মতই এবারেও বামেদের ভরাডুবি অব্যাহত। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে বামেদের হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস। তৃণমূল নেত্রীর গড়ে করে ভোটের লড়াই জমানত খুইয়ে তৃতীয় স্থান পেলেন তিনি। এদিন ৭১.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কার টিব্রেওয়াল। যার দখলে ২২.২৮ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে ৪,২২৬ টি ভোট পেয়ে মাত্র ৩.৫৬ শতাংশ ভোট নিজের ঝুলিতে ভরেছেন শ্রীজীব। ২০১১ সালে ভবানীপুর থেকেই বিপুল ভোটে জিতে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দশক পেরোতেও সেই ধারা অব্যাহত। রবিবার ভবানীপুর সে কথাই মনে করালো বামেদের।
আরও পড়ুন: একশোজনের ৭০ জনই মমতাকে ভোট দিলেন ভবানীপুরে
সেই সঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে বামেদের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে সে কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলো ভবানীপুর। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।