খানাকুল: রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে মধ্য রাতে সাড়ে পাঁচ লাখ কিউসিক জল ছেড়েছে ডিভিসি৷ শনিবার আকাশ পথে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলির বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে এই অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ডিভিসি, কেন্দ্র ছাড়াও ঝাড়খণ্ড সরকারকেও একহাত নেন মমতা।
ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধেও অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডিভিসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঝাড়খণ্ড সরকার জল ছেড়েছে। প্রয়োজনে ঝাড়খণ্ড সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। কেন্দ্র মাস্টার প্ল্যান প্ল্যান তৈরি করুক। কেন্দ্রীয় সরকার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য টাকা দিক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্লাবিত এলাকা৷ নিজস্ব চিত্র৷
আরামগা মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ডিভিসি রাত তিনটের সময় রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই জল ছেড়েছে। সবমিলিয়ে সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তার মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর দেড় লাখ কিউসিক জল ছেড়েছে৷ আর ১ অক্টোবর ১ লাখ কিউসিক জল ছেড়ে ডিভিসি৷ গতবছর ১ লক্ষ ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। সেখানে এবছর মাত্র দু’দিনে সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এরফলে, হুগলি,পুরুলিয়া,বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার প্লাবিত হয়েছে৷
হেলিকপ্টার থেকে জলমগ্ন এলাকার ছবি-ভিডিও করছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন-বারবার প্লাবিত বাংলা, মমতার তোপ কেন্দ্রকে, আলোচনায় বসতে বললেন ঝাড়খণ্ডকে
ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যের ৮ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, বীরভূমের বেশ কয়েকটি ব্লক প্লাবিত। মোট ১ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারের কাজ করছে৷ পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷