কলকাতা: উপনির্বাচনের দিনেই ভাঙচুর করা হল বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের গাড়ি। ভেঙ্গে দেওয়া হল গাড়ির কাঁচ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে এই ঘটনাটি ঘটেছে ভবানীপুর এলাকায়। এদিন ওই কেন্দ্রে ছিল উপনির্বাচন। যেখানের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেই সঙ্গে এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। উপনির্বাচনের দিন বিকেলের দিকে এই ঘটনা নয়া মাত্রা দিল হাইভোল্টেজ ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আক্রান্ত কল্যাণ চৌবে দাবি করেছেন যে ভুয়ো ভোটার ধরে ফেলার কারণেই তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ শরৎ বোস রোডের উপরে এই ঘটনা ঘটে। যেখানে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটি কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে। যেখানে অনেক সংখ্যায় অবাঙালি ভোটার রয়েছে। ওই এলাকায় বিজেপির ভোট ব্যাংক রয়েছে। সেখানে নাকি ভোটারদের বুথে যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন বিজেপি নেতা কল্যাণ। সেই সময়েই ঘটে ওই অঘটন।
আরও পড়ুন- জলবন্দি গ্রামের শিশুকে কোলে নিয়ে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিলেন মহকুমা শাসক
সকাল থেকে বিজেপির তোলা ২৩টি অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বিকেলে কল্যাণ চৌবের গাড়িতে হামলা নিয়েও সেই কমিশনকেই নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি বলেছেন, “মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু জানি না কোন অদৃশ্য কারণে কমিশনের ভূমিকা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। ভবানিপুরে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
আরও পড়ুন- দিনভর দৌড়লেন প্রিয়াঙ্কা, একবারই দেখা মিলল মমতার, ভবানীপুরে এগিয়ে কে?
যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ঘাস ফুলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “কে কল্যাণ চৌবে কেউ চেনে না। বিজেপির এজেন্ট ছিল না শুনছি। তাঁর গাড়ির নথি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হোক। ভুয়ো লোক হলে তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত।”