কলকাতা: ভবানীপুরে চলছে উপনির্বাচন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। এদিন ভোটারদের বুথে এসে ভোট দিতে মাইকিং করে আহ্বান জানাতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এদিন ভবানীপুর কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় হেঁটে মাইকিং করলেন তাঁরা। মাইকে জানালেন ‘ নিরাপত্তার যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে, ভোট দিতে আসুন। আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রদান করুন।‘
এদিন সকালে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ভোট পড়ছিল না ভবানীপুরের প্রতিটি বুথেই। যদিও বেলা বাড়তেই ভোটারদের লাইন বাড়তে থাকে ভবানীপুরের বিভিন্ন কেন্দ্রে। সূত্রের খবর, বেলা ৩ টে পর্যন্ত ভবানীপুরে ৪৮.০৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভোটের হার বাড়াতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এই মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। ভবানীপুর কেন্দ্রে নিরাপত্তা নিয়ে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। ওই কেন্দ্রের ১৩টি এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করে কমিশন। সেই কারনে গতকাল বুধবার ২০ কোম্পানি অতিরিক্ত আধাসেনাও মোতায়েন করা হয়েছে এই কেন্দ্রে। এদিন সকাল থেকেই আটোসাঁটো নিরাপত্তার মোড়া ছিল ওই কেন্দ্রের প্রতিটি বুথই। বজ্র আঁটুনির মধ্যেই ভোট দিয়েছেন এলাকাবাসি।
মাইকিং করে ভোটারদের আহ্বান বাহিনীর
যদিও বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের খালসা হাইস্কুল চত্বরে তাঁকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যা পরে হাতাহাতির রূপ নেয়। বিজেপির অভিযোগ, ওই যুবক ভুয়ো ভোটার। তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপায় বিজেপি। অন্যদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল।
আরও পড়ুন: ভরদুপুরে খালসা স্কুলে ধুন্ধুমার, নেপথ্যে কে, তৃণমূল না বিজেপি?
একই দিনে ভবানীপুরের সঙ্গে ভোট চলছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। ওই দুই কেন্দ্রে শতকরা ভোট দানের হার ছাপিয়ে গিয়েছে ভবানীপুরকে। বেলা ৩ টে পর্যন্ত সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭২. ৪৫ শতাংশ ও জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ৬৮.১৭ শতাংশ। ওয়াকিবহালমহলের মতে সাধারন নির্বাচনের চেয়ে উপনির্বাচনে ভোটদানের উত্সাহ অনেকটাই কম থাকে সাধারন মানুষের। ভবানীপুরের ক্ষেত্রে তারই প্রতিফলন হচ্ছে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘড়ির কাঁটায় ৩.১৫, মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন মমতা
রাজনৈতিক দিক থেকে ভবানীপুরের লড়াই প্রেস্টিজ ফাইট তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধুমাত্র ভোটে জেতাই নয়, বিপক্ষের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিপুল মার্জিনে জেতাই লক্ষ্য তৃণমূল নেত্রীর। সেই কারনেই এদিন সকাল থেকে টুইটারে ভোট দানের আবেদন জানিয়ে এসেছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা।