কলকাতা: রাজনীতির ময়দানে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র। তবুও উপনির্বাচনের সকালে রাজনৈতিক সৌজন্যের এক চিলতে উষ্ণতা দেখা গেল চেতলার রাস্তায়। একই সঙ্গে বসে আড্ডা মারতে মারতে ‘চায়ে পে চর্চা’য় মজলেন তৃণমূল ও সিপিএম নেতারা। ভোটপ্রক্রিয়া পরিদর্শনের ব্যস্ততার মাঝেও কিছুক্ষণ খোশগল্পে মজলেন ফিরহাদ হাকিম।
ভোটের দিনে ডান বাম শিবিরের নেতাদের একসঙ্গে চোখে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই নজর এড়ায়নি কৌতূহলী চোখের।
ভোটের মাঝেই বিরোধী শিবিরের সঙ্গে চায়ে পে চর্চা নিয়ে মুখ খোলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘সবার আগে আমরা পাড়ার ছেলে চেতলার ছেলে! এখানে কেউ সিপিএম করে, কেউ কংগ্রেস করে, আমরা তৃণমূল করি! আমরা একসঙ্গে থাকতে ভালোবাসি ছোটবেলা থেকে। ভোটের সময় ওদের খাবার আমরা খাই, আমাদের খাবার ওরা খায় । আমরা একসঙ্গে বসে আড্ডা মারি সৌজন্য বিনিময় করি। ’
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই ভবানীপুরে ভোট কম, আবেদন জানিয়ে টুইট তৃণমূল নেতানেত্রীদের
একই সৌজন্যের সুর শোনা গেল সিপিএম নেতার গলাতেও। স্থানীয় সিপিআইএম নেতা মিঠু ঘোষ বলেন, ‘এখানে কোন গন্ডগোলের কথা নয়, এখানে সবাই সবাইকে সম্মান দিয়ে চলে। গোটা চেতলা এলাকায় ভোটের সময় কোন গণ্ডগোলের সম্ভবনা আগেও কোনদিন হয়নি। ববিদার সঙ্গে আমার খুব সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি ববিদার থেকে ছোট। আমাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এই চায়ের সৌজন্য বিনিময় থাকবে রাজনীতি ও থাকবে।’ সকাল সকাল ভোট দিয়েছেন ভবানীপুরের বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসও। তারসঙ্গে এলাকায় বিভিন্ন বুথ পরিদর্শন করেন বাম কর্মী সমর্থকেরাও।
আরও পড়ুন: ফিরহাদ-সুব্রতর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ বিজেপির
সকাল থেকেই ভবানীপুর কেন্দ্র পরিদর্শনে যান কলকাতার পুর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে প্রথম থেকেই ভবানীপুর কেন্দ্রে জোরকদমে প্রচার করে আসছেন ফিরহাদ। উল্লেখ্য, শুধু বাংলাই নয়, এই কেন্দ্রের নির্বাচনে নজর রয়েছে গোটা দেশের। বেলা বাড়তে বাড়ছে ভোটারের লাইন। সূত্রের খবর, বেলা ১ টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ৩৫.৯৭ শতাংশ।
ভোটের দিন শত ব্যস্ততার মধ্যেও শাসক-বিরোধী নেতাদের এই ‘চায়ে পে চর্চা’ কিন্তু মন কাড়ল ভবানীপুরবাসীর।