কলকাতা: রাত পোহালেই উপনির্বাচন ভবানীপুর কেন্দ্রে। তার আগে ভবানীপুরে আরও ২০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। বুধবার রাতেই সেই ২০ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী চলে আসছে শহরে। বুধবার ভবানীপুর কেন্দ্রের ১৩টি এলাকাকে উত্তেজনা প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। সেই স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলেই নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে ১৫ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য। এবার আরও অতিরিক্ত বাহিনী আসায় ভবানীপুরে সব মিলিয়ে ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে একসঙ্গে এই বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ভবানীপুর কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬ হাজার ৪৫৬ জন। যার মধ্যে রয়েছেন ১ লক্ষ ১১ হাজার ২৪৩ জন পুরুষ এবং ৯৫ হাজার ২০৯ জন মহিলা ভোটার। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন ভোটার নাম নথিভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপিকে হারাতেই আমরা তৃণমূলে যোগদান করেছি’ বললেন লুইজিনহো ফলেইরো
ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য একজন পর্যবেক্ষক অবজারভার থাকবেন। এছাড়াও ওই কেন্দ্রের প্রতিটি বুতে একজন করে মাইক্রো অবজারভার নিযুক্ত করা হয়েছে। থাকছেন একজন পুলিশ অবজারভার। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর ভোট কারচুপি রুখতে প্রতিটি বুথেই থাকছে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। অর্থাৎ বুথের ভেতরে সিসি টিভির মাধ্যমে সমস্ত ভোট প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখবে কমিশন। ভবানীপুর কেন্দ্রের প্রতিটি বুথ মিলিয়ে মোট ২৮৭ টি ইভিএম ও ভিপি প্যাডে থাকবে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগে আটকে পড়লে ফোন করুন, ভোটের ব্যবস্থা করবে কমিশন
ভোটের সময় করোনা সংক্রমনের বিষয়টিও মাথায় রেখেছে কমিশন। সংক্রমণ রুখতে ভোট কর্মীদের গ্লাভস দেওয়া হবে। মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ। এর পাশাপাশি বর্তমান দুর্যোগের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ‘১৯৫০’ এটি টোল ফ্রি নাম্বার চালু করেছে কমিশন। শারীরিক প্রতিবন্ধী কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে যদি কেউ ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারেন তাহলে ওই নম্বরে ফোন করলে সেই ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে কমিশন।