নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধির সঙ্গে কানহাইয়া কুমারের সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল৷ দিন দশেক আগে সেই জল্পনায় জল ঢেলে সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেছিলেন, ‘‘কানহাইয়া আমাদের জাতীয় কর্মসমিতির সবচেয়ে কমবয়সি সদস্য। কানহাইয়া কুমার পার্টির সম্পদ।’’ কিন্তু, মঙ্গলবার কানহাইয়া কুমারের কংগ্রেসে যোগদানের পর ডি রাজা বলেন, কানহাইয়া কুমার পার্টির প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন না৷’ তিনি আরও বলেন, ‘কানহাইয়া কুমার নিজেকেই পার্টি থেকে বহিষ্কার করেছেন৷ সে পার্টির প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন না৷ তাঁর আসার বহু আগে দল ছিল৷ কানহাইয়া ছাড়া আগামীতে দল চলবে৷’
Communist Party of India general secretary D Raja: #KanhaiyaKumar expelled himself from the party. He was not truthful to the party. The CPI existed long before Kanhaiya came into the party's fold and will continue to exist after his exit.
— Press Trust of India (@PTI_News) September 28, 2021
কানহাইয়া কুমার মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন। কিন্তু কেন এই দলত্যাগ? সেই প্রশ্ন অনেকের মনেই জেগেছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর পড়ুয়া সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া সাংবাদিক সম্মেলনে পরিষ্কার করে দিয়েছেন তাঁর জার্সি বদলের কারণ। তাঁর মতে, দেশের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক দল জাতীয় কংগ্রেস। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিজেপির বিকল্প হিসেবে কংগ্রেসই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে কংগ্রেসের ছাতার তলায় থাকা জরুরি।
আরও পড়ুন: কাস্তে ধানের শিস ছেড়ে রাহুলের হাত ধরলেন কানহাইয়া, সঙ্গী নির্দল জিগনেশও
কানহাইয়া বলেন, আমি কংগ্রেসে যোগদান করেছি কারণ কিছু মানুষ, যারা দেশ চালাচ্ছেন, তারা দেশের সংস্কৃতি পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। আমি দেশের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক দল কংগ্রেসকে বেছে নিয়েছি। দেশের যুব সম্প্রদায় বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, কংগ্রেস শেষ হয়ে গেলে দেশের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে।
বিজেপি শাসিত ভারতের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে হাজার দেশভাগের পূর্ববর্তী সময়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায়, আমার মনে হয় দেশ ১৯৪৭-এর আগের অবস্থায় চলে গিয়েছে। গোটা দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। কংগ্রেস মহাত্মা গান্ধী, বি আর আম্বেদকর, জহরলাল নেহেরু, আসফাকুল্লা খানের নীতি মেনে রাজনীতি করে।