কলকাতা: একশোর মধ্যে কেউ পেয়েছে দুশো, কেউবা ১৯৮, আবার কেউ ১৫১। বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের এমএড এর প্রকাশিত মেধা তালিকা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পড়ুয়াদের। সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিনয় ভবনের এমএড-এর মেধাতালিকা প্রকাশ হতেই চূড়ান্ত বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই চরম গাফিলতি দেখে হতবাক সকলেই। কিভাবে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। যদিও এ বিষয়ে কোনও সদুত্তর কর্তৃপক্ষের কাছে পাওয়া যায়নি।
এবছর বিনয় ভবনে এমএড কোর্সে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর। ৫০ আসনে পরীক্ষার জন্য বিশ্বভারতীর আভ্যন্তরীণ ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই পরীক্ষা দেয়। এর মধ্যে ২৫ টি অভ্যন্তরীণ ও ২৫ টি আসন বহিরাগতদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত ও ৪০ নম্বর অ্যাক্যাডেমিক স্কোরের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। পরীক্ষার পর মেধা তালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা।
কিন্তু সেই মেধা তালিকায় দেখা যাচ্ছে ল্যাঙ্গুয়েজ গ্রুপে দুই পড়ুয়া ১০০ এর মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০০.২৮ ও ১৯৮.৩৮৫। এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগে দুই পড়ুয়া পেয়েছেন যথাক্রমে ১৯৬.৩৬৭ ও ১৫১.২৭৫। ১০০ মধ্যে কিভাবে পরীক্ষার্থীরা ২০০ বা ১৫০ পেলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? পাশাপাশি পড়ুয়াদের অভিযোগ আভ্যন্তরীণ আসনেও বেশকিছু বহিরাগত অর্থাৎ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নাম উল্লেখিত রয়েছে মেধাতালিকায়। ফলে চূড়ান্ত বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
ছাত্রছাত্রীদের দাবি, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এমন দায়িত্বহীনতার কাজ কিভাবে করলো? সেই সঙ্গে দ্রুত এই মেরিট লিস্ট বদল করার দাবি তুলছে অনেক ছাত্রছাত্রীরা।