কলকাতা : বহিরাগত দিয়ে একুশের নির্বাচনে বাংলা দখল করতে পারেনি বিজেপি। তাই এজেন্সি লাগিয়ে বাংলা দখল করতে চাইছে মোদি-অমিত শাহের বিজেপি সরকার৷ অভিযোগ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের প্রচারে রবিবার যদুবাবুর বাজারে জনসভায় অভিষেকের আরও অভিযোগ, যাদের ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল, তাঁরা এখন দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহ-মোদির পাশে বসে আছে। অথচ, তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এরপরই, হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ক্যামেরার সামনে বলছি ইডি-সিবিআই আমার কাঁচকলা করবে৷ কত নোটিস পাঠাবে? পাঠাক৷ কাগজ শেষ হয়ে যাবে৷’’
বিজেপি শত চেষ্টা করেও তৃণমূল কংগ্রেসকে দমাতে পারবে না বলেও দাবি করেন অভিষেক৷ তিনি বলেন, ‘ আর যাই করুক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেস মেরুদণ্ড বিক্রি করবে না৷’ গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদিকে হারানোর ক্ষমতা রাখেন৷ একুশের নির্বাচন অন্যতম প্রমাণ৷ ইতিমধ্যে, বাংলার বাইরে পা রেখেছে তৃণমূল৷ ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে গিয়েছে৷ অন্যান্য রাজ্যেও আগামী দিন তৃণমূলের বিস্তার ঘটবে৷
আরও পড়ুন-মমতাকে রোমে যেতে বাধা কেন, প্রশ্ন বিজেপি সাংসদ স্বামীর
কয়েক দিন আগে কয়লা পাচার কাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করে ইডি৷ দিল্লিতে ইডির সব প্রশ্নের লিখিত জবাব দিয়েছেন অভিষেক৷ ন’ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা শেষে ঘডি দফতর থেকে বেরিয়ে বিজেপিকে কার্যত হুশিয়ারি দেন অভিষেক। ২০২৪ নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর কথা বলেন। অভিষেক বলেন, আমাকে ডাকা হয়েছিল। টানা নয় ঘণ্টা তাঁদের প্রশ্নের লিখিত উত্তর দিয়েছি। তাঁদের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। এরপরই তিনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘ভয় দেখিয়ে মাথা নত করা যাবে না। আপনি যাই করুন না কেন, সামনের ভোটে তৃণমূল জিতবেই। জীবন দিয়ে দেব, কিন্তু মাথা নোয়াব না। কাপুরুষরা আমাদের হারাতে পারেনি বলে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।’ ২০২৪-এ বিজেপিকে হারাবই। বাংলায় ২০০ আসন পাব বলেছিলেন মোদি। কিন্তু, বাংলায় ৭০ আসন পেয়েই থামতে হয়েছে বিজেপিকে। ইডি-সিবিআই-আয়কর, যা কিছু আছে, ব্যবহার করতে পারেন। আমরা যে যে রাজ্যে যাব, সেখানেই বিজেপিকে হারাব।’