শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর উপাচার্য, আধিকারিক ও বেশকিছু অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে এ বার শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ করল ‘বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ’।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যোগদান করার পর থেকেই কার্যত একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কখনও উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কখনও আবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শান্তিনিকেতন থানায়।
বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন যৌথ মঞ্চের পক্ষের অভিযোগ, পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি নেই। এমনই অভিযোগ তুলে আবার শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ জমা দিল বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ। এদিন অভিযোগ ছারাও শান্তিনিকেতন থানার সামনে বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচিও দেখানো হয়।
শান্তিনিকেতন থানার সামনে বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি
যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে অধ্যাপক কর্মী ছাড়াও এদিন শান্তিনিকেতনের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই একের পর এক অনৈতিক ক্রিয়া কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন স্বয়ং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফলে, বিশ্বভারতী বিরোধী আন্দোলনকারীদের হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।
আরও পড়ুন – আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ, উপাচার্যের দিল্লি সফর চলাকালীনই শোকজ বিশ্ব-ভারতীর অধ্যাপক
কয়েকদিন আগেই অচলাবস্থা চলছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কার করার কারণে উপচার্যের বিরুদ্ধে শুরু হয় আন্দোলন। উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখা হয় দীর্ঘ সময়।
অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য
আরও পড়ুন- উপাচার্যের অপসারণের দাবি, নতুন করে কমিটি গড়ল ‘বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ
সেই বিবাদের রেশ যায় কলকাতা হাইকোর্টে। যদিও আদালতের নির্দেশে বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর কিছুদিন পরেই উপাচার্যের অপসারণের দাবি তুলেছিল ‘বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ’। এবার তদন্তে গতি আনতে থানায় গেল যৌথ মঞ্চ।