কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : হিন্দুদের অনুষ্ঠানের পাশে লেখা ‘আমরা’৷ মুসলমানদের অনুষ্ঠানের পাশে লেখা, ‘ওরা’৷ শৈশব থেকেই ‘আমরা-ওরা’র বিষবৃক্ষ পুঁতে দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যপুস্তকে৷এনসিইআরটি-র দ্বিতীয় শ্রেণির বইয়ের পাঠ্যসূচিতে ইদ-হোলি-গণেশ চতুর্থীর কথা লেখা রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে গণেশ চতুর্থী পালনে ‘আমরা’ শব্দবন্ধের ব্যবহার নিয়ে। ইদে ‘ওরা’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে। হোলির ক্ষেত্রে অবশ্য বাদ পড়েছে ‘আমরা-ওরা৷’ ইদ সম্পর্কে লেখা হয়েছে, প্রতিবছর রমজান মাসের শেষে ইদে নতুন জামা পরে বিশেষ নমাজে অংশ নেয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। চলে শুভেচ্ছা বিনিময়। ইদের শেষে ‘ওরা’ সিমাই খেয়ে একে অপরের মিষ্টিমুখ করায়।
আরও পড়ুন : লাদেনকে শহীদের মর্যাদা দিয়েছে পাকিস্তান, রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে স্পষ্ট জানাল ভারত
পাশাপাশি এই বইয়ে দেখা যাচ্ছে হোলির আমরা-ওরার ছোঁয়া না-লাগা ছবি। নানা রঙ জলে গুলে একে অপরকে রাঙিয়ে দেওয়া। লাল, নীল, হলুদ রঙ বেলুনের মধ্যে ভরে একে অপরের দিকে ছোড়া। তারপর হোলি খেলার শেষে মিষ্টি খাওয়া। তারপর বলা হয়েছে গণেশ চতুর্থীর কথা। যেখানে বলা হচ্ছে, ‘আমরা’ গণেশ চতুর্থী পালন করি। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মতিথি। সেদিন গণেশের পুজো হয়। আর গণেশ ঠাকুরের প্রিয় মিষ্টি লাড্ডু।তা সকলকে দেওয়া হয়। কিন্তু এই পর্যন্ত তো সবই ঠিক। তাহলে সমস্যা কোথায়?
‘আমরা’ গণেশ চতুর্থী পালন করি
সমস্যা, পাঠ্যবইয়ে লেখা ‘আমরা’ গণেশ চতুর্থী পালন করি। এই ‘আমরা’ কারা? একটা পাঠ্যবই তো কেবলমাত্র হিন্দুদের জন্য বা একজন মুসলিমের জন্য নয়। জাতপাত-ধর্ম নির্বিশেষে একটা পাঠ্যবই তৈরি হয়। যা সকলের জন্য। যেখানে হোলির কথায় ‘আমরা পালন করি’ লেখা হয়নি। সেখানে গণেশ চতুর্থীতে বা ইদে কেন একথা লেখা হল, বিতর্ক দেখা দিয়েছে তা নিয়ে। যে শিশুরা এই বই পড়বে তাদের মধ্যে কী মনোভাব তৈরি হবে, তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শিশুদের মধ্যেও কি সেই আমরা-ওরার বিভাজন তৈরি হচ্ছে না? নেট দুনিয়ায় এই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে বিতর্ক।