নয়াদিল্লি: রোহিণী কোর্টে শুটআউটের ঘটনায় বিচারকদের সুরক্ষায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করতে পারে সুপ্রিমকোর্ট। সামনের সপ্তাহে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে। ঝাড়খণ্ডের বিচারক উত্তম আনন্দের মৃত্যু ঘটনায়ও এই ধরনের মামলা করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারকদের কর্মস্থলে এই ধরনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা।
শুক্রবার ভরদুপুরে দিল্লির রোহিণী কোর্টরুমে গুলি চলে। কুখ্যাত গ্যাংস্টার জিতেন্দর গোগী সহ মৃত্যু হয় তিনজনের। ওই ঘটনার পর প্রধান বিচারপতি রমানা দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিএন প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা মুখ্য বিচারপতি প্যাটেলকে পরামর্শ দেন, আদালতের কাজকর্ম যাতে প্রভাবিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ এবং বার উভয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য।
আরও পড়ুন: দিল্লির কোর্টরুমে গ্যাংস্টারদের এলোপাথাড়ি গুলি, কুখ্যাত ডন গোগী নিহত
শুক্রবার রোহিণী আদালতের ২০৭ নম্বর কক্ষে শুনানি চলছিল। সেই সময় আচমকা একদল আততায়ী গুলি চালাতে শুরু করে। এর পর দুষ্কৃতীদের দু’টি দলের মধ্যে গুলিযুদ্ধ শুরু হয়। মৃত্যু হয় কুখ্যাত গ্যাংস্টার জিতেন্দর গোগী। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল দুই দুষ্কৃতীকে গুলি করে হত্যা করে। অপহরণ, খুন-সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে নিহত গ্যাংস্টার জিতেন্দরের বিরুদ্ধে।
২০২০-এ মার্চ মাসে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ বিভাগ। একটি মামলার শুনানির জন্য তাকে ওইদিন কোর্টে নিয়ে আসা হয়। পুলিশের দাবি, আততায়ীরা আইনজীবীর পোশাকে এসেছিল। কোর্টে সওয়াল শুরু হতেই জিতেন্দরকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা গুলি চালান আদালত কক্ষে মজুত পুলিশকর্মীরা।
আরও পড়ুন: শাড়ি পরা মহিলাকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ, রোষানলের মুখে দিল্লির অভিজাত রেস্তোরাঁ
শুটআউটের ঘটনার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও শুনসান রোহিণী কোর্ট চত্বর। কাজে আসেননি আইনজীবীরা। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দিল্লি বার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছিল, রোহিনী কোর্টের ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় সুনিশ্চিত করার দাবিতে আজ, অর্থাৎ শনিবার কাজ বন্ধ রাখা হবে। রোহিণী কোর্টের ঘটনার পর তিহার, রোহিণী সহ দিল্লির বিভিন্ন জেলগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বার কাউন্সিল অফ দিল্লির চেয়ারম্যান রাকেশ শেরাওয়াত আজ, শনিবার দিল্লির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছেন।