ওয়াশিংটন: বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র হচ্ছে চীন। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কিছুটা হলেও একঘরে হয়েছে চিন। আর এই সময়েই সক্রিয় হচ্ছে চীন বিরোধী শক্তি কোয়াড(Quad)। যার অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র হচ্ছে ভারত। এছাড়াও রয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা। শুক্রবার এই চার দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়াশিংটনে।
বিদেশমন্ত্রী এবং এক ঝাঁক প্রতিনিধি নিয়ে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি মনে করেন যে সমগ্র বিশ্বের হিতার্থে কাজ করবে এই কোয়াড। মোদি বলেছেন, “বিশ্বের কল্যাণের জন্য একটা শক্তি হিসেবে কাজ করবে কয়াড। আমি মনে করি কোয়াড অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি নিজেদের পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা এবং সমগ্র বিশ্বে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবে।”
আরও পড়ুন- ছেলে মইনুলকে গুলি করে হত্যার দৃশ্য মোবাইলে দেখলেন বাবা
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই মোদি বলেন, “আমরা চার রাষ্ট্র ২০০৪ সালে সুনামির পরে প্রথমবার মিলিত হলাম ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় উন্নতির জন্য। যখন সমগ্র বিশ্ব করোনা থেকে বাঁচার জন্য লড়াই করছে তখন আমরা মানবতার স্বার্থে মিলিত হচ্ছি।” চলতি বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোয়াডের বৈঠক হচ্ছে। এর আগে গত মার্চ মাসে এই গোষ্ঠীর ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছিল।
আরও পড়ুন- অভিষেককে বাধা! ১৪৪ ধারার মধ্যে জনসভা বিপ্লব দেবের, মুখ্যসচিবের দ্বারস্থ তৃণমূল
কোয়াডের শুক্রবারের বৈঠকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সরকারি ঘোষণা অনুসারে, কোয়াডের বৈঠকে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন, ৫জি প্রযুক্তি, পরিকাঠামো উন্নয়ন, সরবারহ ব্যবস্থা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা উপস্থিত ছিলেন।
চার রাষ্ট্রপ্রধান
কোয়াড্রল্যাটারাল সিকিওরিটি ডায়ালগ বা QUAD। ২০০৭ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিঞ্জো আবের নেতৃত্বে পথ চলা শুরু চারটি দেশের। চিনা আগ্রাসন রুখে দেওয়ার লক্ষ্যে বৈঠকে বসে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান সমস্যা নিয়েও নানা আলোচনা শুরু হয়। তবে সময়ের সঙ্গে একাধিক প্রতিবন্ধকতা আসে এই কোয়াডে। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতে ফের সক্রিয় হচ্ছে কোয়াড।