কলকাতা: ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরেছে৷ ভবানীপুর কেন্দ্রে আবার প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ আজ শুক্রবার ৭১ নম্বর ব্লকে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি৷ একুশের ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্রে নিজে না দাঁড়িয়ে কেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে টিকিট দিয়েছিলেন সেটা নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল নেত্রী৷ বলেন, ‘আমি যেমন ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে তেমন শোভনদা ভবানীপুরের ঘরের ছেলে৷ ভাবলাম শোভনদাকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত৷’ মমতার কথায়, সেই কারণে তিনি রিস্ক নিয়ে নন্দীগ্রামে চলে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু তখন ভাবতেই পারেননি তাঁকে হারাতে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে৷
আরও পড়ুন: Assam: দখলকারীদের উচ্ছেদে বুক লক্ষ্য করে গুলি, অসমের ঘটনায় নেপথ্যে কে?
কেন তৃণমূল নেত্রীকে হারাতে বিজেপিকে সর্বস্ব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল৷ মমতা বলেন, ‘ওরা সবার সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে নিতে পারে৷ কিন্তু ও (মমতা) বোঝাপড়া করে না৷ মাথা নত করে না৷ ওকে যেভাবে হোক হারাতে হবে৷ এটাই ওদের টার্গেট ছিল৷’ বিজেপির আসল পরিকল্পনা কী ছিল সেটাও জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী৷ বলেন, ‘প্রথমে বিজেপির পরিকল্পনা ছিল ওকে ফিজিক্যালি চোট করে দাও৷ আর ফিজিক্যালি যদি চোট করতে না পারো তাহলে ও যাতে বাংলায় আর আসতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা৷’
আরও পড়ুন: বর্ষার আগে চালু হচ্ছে মন্দারমণি-দীঘা মেরিন ড্রাইভ রোড
কিন্তু ‘ফিজিক্যালি চোট’ দিয়েও বাংলার মেয়েকে আটকানো যায়নি৷ নিজে হেরে গেলেও দলকে জিতিয়েছেন৷ মমতা এদিন বলেন, ‘আমার পা চোট করে দিয়েছিল৷ আমি হুইলচেয়ারে একটার পর একটা জেলায় মিটিং করে গেছি৷ ১৫০-র উপরে মিটিং করেছি হুইলচেয়ারে৷’ আর বিজেপি? কটাক্ষ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘ওরা তখন ডেলি প্যাসেঞ্জারি করত৷ ৫০টা মিনিস্টার ৫০টা প্লেন ভাড়া করে এসেছে৷ সাথে বন্দুকধারীদের নিয়ে এসেছিল৷ সাথে এজেন্সি নিয়ে এসেছিল৷ কী না করেনি৷ সবটাই করেছে৷ এজেন্সি থেকে শুরু করে মেশিন থেকে শুরু করে বন্দুক থেকে শুরু করে তাদের জঘন্যভাবে ব্যবহার করা যায় সেটা আমি ভাবতেও পারিনি৷ এরা করতে পারে না এমন কোনও কাজ নেই৷’