কোভিডের বাস্তব পরিস্থিতির মোকাবিলায় এ বার সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সতর্ক করে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কোভিড মোকাবিলায় কোনওরকম তাড়াহুড়ো করে বিধিনিষেধ তুলে না-দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ বাস্তব পরিস্হিতি বুঝে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে তবেই বিধিনিষেধ তোলার স্পষ্ট নির্দেশে বলা হয়েছে৷ পাশাপাশি টেস্টিং ও টিকাকরণের উপর গুরুত্ব দিতে সব রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিবের চিঠিতে। যদিও ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যর তরফে জারি করা বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।
কোভিড সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের ধারণা পুজোর আগে ধেয়ে আসতে পারে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। আর সে কথাকে মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই চিঠিতে বিধিনিষেধ জারি রাখার উপর জোর দেওয়ার পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে৷ অবশ্যই তার আগে জোর দিতে হবে টেস্টিং ও টিকাকরণের উপর। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খলা ভাঙ্তে টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমায় বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। তিনি এই শিথিল করার পরামর্শের পক্ষপাতী নন। তিনি বলেন, সংক্রমণ কেবলমাত্র কমলেই হবে না, নিশ্চিত করতে হবে টেস্টিং এবং টিকাকরণ৷ এই দুই বিষয়ে গতি বাড়াতে জোর দেওয়ো হয়েছে৷ কারণ, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় এই প্রস্তুতি এবং তার পরিপ্রেক্ষিতেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবদের এই চিঠি দেওয়া বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এ দিকে, টানা ৭৪ দিন পরে দেশের সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৮ লাখের নীচে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৪৮০ জন, কোভিডমুক্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৯৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৮৭ জনের। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ কোটি ৯৮ হাজার ৬৫৬। করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন এখন একমাত্র হাতিয়ার। তাই দেশ জুড়ে চলছে করোনার গণটিকাকরণ৷ এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার ৩৯৯ জন।