করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিম্নমুখী। তবে, তা শিখিয়ে দিয়ে গেছে মানবসভ্যতার কাছে সংক্রমণ কতখানি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে! এই শিক্ষা নিয়েই তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য সারা দেশের ১ লক্ষ করোনা যোদ্ধাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও দেশের একটা বড় অংশের মানুষ মনে করছে, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার করোনা মোকাবিলায় সময়োপযোগী ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এই মহামারী মোকাবিলাই বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। লকডাউনের সময় কোনওরকম সরকারি সাহায্য তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি। করোনা কালে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা এবং উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আয়োজন নিয়েও অখুশি মানুষ।
এ দিন করোনা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষিত করার জন্য শুক্রবার “কাস্টমাইজড ক্রাশ কোর্স” প্রোগ্রাম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠান এ দিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দেশের ২৬ রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ১১১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে বাংলার তরফে একমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরের মকরামপুরে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা সরাসরি যুক্ত হয়েছিলেন। সূত্রের খবর, সারা দেশে ১ লক্ষ করোনা যোদ্ধাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করায় একমাত্র লক্ষ্য। কী কী শেখানো হবে এই শিবিরে? দক্ষতা অর্জনের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে হোম কেয়ার সাপোর্ট, বেসিক কেয়ার সাপোর্ট, অ্যাডভান্স কেয়ার সাপোর্ট, ইমারজেন্সি কেয়ার সাপোর্ট, স্যাম্পল কালেকশন সাপোর্ট, মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট সাপোর্ট-সহ মোট ৬ প্রকার কাজ শেখানো হবে। এ দিকে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের করোনা যোদ্ধারা।
কেন্দ্রের “প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা ৩.০”-র অধীনে এই কোর্স বাবদ কেন্দ্রের খরচ পড়বে ২৭৬ কোটি টাকা। এ দিন ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোভিড-১৯ এখনও রয়েছে। আবারও তার রূপ বদল করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে নতুন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়তে আমাদের প্রস্তুত থাকা দরকার। আমরা দেশে ১ লক্ষ প্রথমসারির কর্মীকে তৈরি করার লক্ষ্যে এগচ্ছি।” এ দিনের ভাষণে প্রশিক্ষণের বিষয়টি ছাড়াও টিকাকরণ ও কোভিড বিধির প্রসঙ্গও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর কথায়। তিনি বলেন, “দেশের সকলকে বিনামূল্যে টিকা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কেন্দ্র। সমস্ত কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে আমাদের। মাস্ক পরা কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”