কলকাতা: ত্রিপুরা সফরের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বুধবার পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ত্রিপুরা যাওয়ার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু ঠিক তার আগেই রাজ্যজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে বিপ্লব দেব সরকার। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ত্রিপুরা সফর বাতিল করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেইমতো আগামীকালের সমস্ত দলীয় কর্মসূচি ও পিছিয়ে দেওয়া হল ।তবে আগামী দিনে ইন্ডোরে যাতে সভা করা যায় তার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল। এমটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে।
গতকাল মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই রাজ্যে সমস্ত রকম রাজনৈতিক জামায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ত্রিপুরা সরকার। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জারি থাকবে নিষেধাক্কা।
তৃণমূলের অভিযোগ, একতরফাভাবে ত্রিপুরা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ত্রিপুরা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলের কর্মসূচিতে বারবার বাধা দিচ্ছে বিপ্লব দেব প্রশাসন। তাই আগামী দিনে ত্রিপুরা সফরের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল।
দলীয় সূত্রের খবর, এমন কারফিউ পরিস্থিতিতে কর্মসূচি পালন করলে দলীয় কর্মীদের হেনস্থা কিংবা ভুয়ো মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অযথা বিতর্ক এড়াতে কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আগামী দিনে ইন্ডোরে যাতে সভা করা যায় তার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন বিজেপি সভাপতি
উল্লেখ্য, গত অগাস্ট মাসেই ত্রিপুরায় গিয়ে পুলিশের হাতে হেনস্তা হতে হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্বকে। নাইট কার্ফু কারফিউ ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার করে তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল খোয়াই থানায়। পরিস্থিতি সামলাতে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে আহত দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়ান তিনি। ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় সংসদের বাদল অধিবেশনেও সরব হয়েছিল তৃণমূল।
আরও পড়ুন: নারদ মামলায় বিধানসভায় গরহাজির, স্পিকারকে পাল্টা চিঠি ইডি-সিবিআইয়ের
২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরায়। বাংলায় জয়রথ অব্যাহত রেখে এবার ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মাত্র ৬০ টি বিধানসভা আসনে জিতে আঞ্চলিক থেকে জাতীয় দল হয়ে উঠতে মরিয়া তৃণমূল। সেই রাজনৈতিক সমীকরণ মাথায় রেখেই ত্রিপুরায় সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।