কলকাতা: ভোট পরবর্তী ‘অশান্তি’ সংক্রান্ত অভিযোগের অধিকাংশই ভুয়ো। সুপ্রিমকোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় এই দাবি করল রাজ্য সরকার। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে যে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে, তাও সঠিক নয় বলে জানিয়েছে সরকার।
ভোট পরবর্তী ‘অশান্তি’ খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের নিয়ে তৈরি কমিটির সদস্যদের একাংশ বিজেপি ‘ঘনিষ্ঠ’। দেশের শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় এমনটাই দাবি করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বক্তব্য, ‘অশান্তি’র ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের তরফে মোট ১৪২৯টি মামলা করা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে ৮ হাজার ৮৫২ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য
এর মধ্যে ৫ হাজার ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বা তাঁরা আত্মসমর্পন করেছেন বা জামিনে মুক্ত রয়েছেন। সিআরপিসি-র সেকশন ৪১এ-তে নোটিস পাঠানো হয়েছে ২ হাজার ৯৮৯ জনকে। অর্থাৎ, মোট অভিযুক্তের ৫৮ শতাংশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। মানবাধিকার কমিশনের কমিটি দাবি করেছে, এই সংখ্যাটা ৩ শতাংশের কম। এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
সরকারের তরফে দেশের শীর্ষ আদালতে একটি বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে। রাজ্যের দাবি, ভোট পরবর্তী ‘অশান্তি’ সংক্রান্ত ২৮৭৭টি অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে পুলিস। যার মধ্যে ১৩৫৬টি অভিযোগই ভুয়ো। ৬৫১টি অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের তদন্ত করা সত্ত্বেও উপযুক্ত কারণ ছাড়াই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের তদন্তে কী ক্রুটি ছিল তা জানায়নি হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
১৯ আগস্ট হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, খুন, ধর্ষণ, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো গুরুতর ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। বাড়ি ভাঙচুর করা, আগুন লাগানো, মারধর করা, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবে সিট। ৬ সপ্তাহের মধ্যে সিট এবং সিবিআইকে তদন্তের রিপোর্ট জমা করতে হবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।