দেরাদুন: সামনেই পুজোর মরশুম৷ এমন সময়ে পর্যটকদের ঢল নামে পাহাড়ে৷ তাই বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট চারধাম যাত্রা শুরুর অনুমতি দিতেই খুশির হাওয়া পর্যটক মহলে৷ হিমালয়ের পার্বত্য কোলের গঙ্গোত্রী (Gangotri), যমুনোত্রী (Yamunotri), বদ্রীনাথ (Badrinath) এবং কেদারনাথ (Kedarnath) দর্শনের ই-পাস সংগ্রহের হিড়িক পড়ে গিয়েছে তীর্থযাত্রীদের মধ্যে৷ ১৮ সেপ্টেম্বর তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে গিয়েছে চারধাম (Chardham Yatra)৷ চারধাম দেবস্থানম বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ১২ দিনের বুকিং শেষ৷ প্রথম দিনই ১০ হাজার ই-পাস বিলি করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছরে এনএইচএআই’র আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১ লক্ষ ৪০ কোটি, দাবি গড়কড়ির
করোনা আবহে বন্ধ ছিল চারধাম যাত্রা৷ আদালতের নির্দেশের পর সাড়ে চার মাস পর খুলে গিয়েছে কেদারনাথ-বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা৷ মুখে হাসি ফিরে এসেছে পর্যটক শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের৷ চামোলি জেলায় বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা৷ তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পরই তীর্থযাত্রীদের জন্য শুক্রবার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি জারি করে উত্তরাখণ্ড সরকার৷ সেখানে বলা হয়েছে, যাত্রা শুরুর ১৫ দিন আগে কেরল, মহারাষ্ট্র এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তীর্থযাত্রীদের ভ্যাকসিনের দু’টো ডোজ নিতে হবে৷ সঙ্গে রাখতে হবে টিকার শংসাপত্র৷ তবে অন্য রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের ক্ষেত্রে যদি টিকার একটা ডোজ নেওয়া থাকে সেক্ষেত্রে যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টার আগের আরটি-পিসিআরের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে৷ কেদার-বদ্রী দর্শনের জন্য ই-পাস সংগ্রহ করতে হবে স্মার্ট সিটি পোর্টাল থেকে৷ সবার আগে তীর্থযাত্রীদের ওই পোর্টালে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে৷ সেখান থেকেই মিলবে ই-পাস৷
কেদারনাথ মন্দির৷ ছবি- সৌজন্যে ইন্টারনেট৷
আরও পড়ুন: আগামী উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর ‘মুখ’ হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা
তীর্থযাত্রীদের উত্তরাখণ্ডে ঢোকার অনুমতি দেওয়ায় খুশি হোটেল থেকে শুরু করে গাড়ি ব্যবসায়ীরা৷ ইতিমধ্যে হোটেলগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে বুকিং৷ পর্যটকরাও ভিড় জমাচ্ছেন পাহাড়ে৷ যদিও হাইকোর্টের নির্দেশ, বদ্রীনাথে দৈনিক এক হাজার, কেদারে ৮০০, গঙ্গোত্রীতে ৬০০ এবং যমুনোত্রীতে ৪০০ তীর্থযাত্রী প্রবেশে করতে পারবে৷ এতেও খুশি হোটেল ব্যবসায়ীরা৷ জানিয়েছেন, হোটেল বন্ধ থাকায় এতদিন লোকসানে চলছিল তাঁদের ব্যবসা৷ এখন পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে৷ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে৷ মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও জানিয়েছেন, পর্যটন হল এখানকার মানুষের জীবনধারণের উৎস৷ পর্যটকরা যাতে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলেন সেটা সুনিশ্চিত করবে প্রশাসন৷