সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: বেলঘড়িয়ার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধার হত্যার তদন্তে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক প্রশ্ন তুলে দিলেন হাইকোর্টে জুনিয়রের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তুললেন তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও।
‘কলকাতা টিভি ডিজিটাল’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বুধবার জয়ন্ত বাবু বলেন,”এই মামলার তদন্তে সিবিআই মোহনবাগান কর্তা বলরাম চৌধুরীর পুত্রবধূ প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করা ছাড়া আর কোন সক্রিয় ভূমিকা দেখায়নি। মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মোহনবাগান কর্তা বলরাম চৌধুরী এবং তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা তো দূরের কথা, একবারের জন্যেও ডেকে জেরা পর্যন্ত করেনি। তাও প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসে। এরপর আট মাস গড়িয়ে গেছে। সিবিআই একচুলও তদন্ত করে নি।”গত ৮ মাসে এই হত্যা রহস্যে সিবিআই তদন্তের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্দ হাইকোর্টে জুনিয়রের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। তাই সিবিআই তদন্তের অগ্রগতির জন্য তিনি কয়েক দিনের মধ্যে হাইকোর্টে ফের পিটিশন জমা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-মা’কে খুন করে ২ বছর বাড়ির বারান্দায় পুঁতে রাখল ছেলে, গ্রেফতার অভিযুক্ত
গত ২০১১ সালে বাড়ি ফেরার পথে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর গুলি করে খুন করা হয় তরুণ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধাকে। এই ঘটনায় প্রথমে বেলঘড়িয়া থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন জুনিয়রের বাবা সমরেশ মৃধা। অভিযোগে জানানো হয়, জুনিয়রের সঙ্গে নিজের পরিচয় গোপন রেখে প্রেম করতো মোহনবাগান কর্তা বলরাম চৌধুরীর পুত্রবধূ প্রিয়াঙ্কা। পরবর্তী কালে জুনিয়র যখন জানতে পারেন প্রিয়াঙ্কা বিবাহিত তখন তিনি তাঁর জীবন থেকে সরে আসার চেষ্টা করেন। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছিল। তার জেরে জুনিয়রকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়। জুনিয়রের বাড়ির লোকজনের সমস্ত অভিযোগ ছিল বলরাম চৌধুরী, তাঁর ছেলে এবং পুত্রবধূ প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-মোবাইল-চাবির খোঁজে বেহালা পর্ণশ্রী জোড়া খুনে ধৃতদের পুলিশ হেফাজত
এই তদন্তে পুলিশ কোনো কিছু না করায় জুনিয়রের বাড়ির লোকজন সিআইডির দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানেও হতাশ হন তাঁরা। সিআইডি তদন্ত বেশিদূর এগোয়নি। তখন জুনিয়রের বাড়ির লোকজন সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের পক্ষে হাইকোর্টে মামলা করেন আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। নির্দেশ পেয়ে গত জানুয়ারি মাসে বলরাম চৌধুরীর পুত্রবধূ প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করে। ৯০ দিন পর প্রিয়াঙ্কা জামিনে ছড়াও পেয়ে যান।
