বাড়িতে রূপচর্চার কথা যত সহজে বলা যায়, তা ঠিক ততটাও সহজ নয়। বিশেষ করে যখন ত্বকের পরিচর্যায় এক রকমের উপকরণ আবার চুলের পরিচর্যায় অন্য রকমের উপকরণ ব্যবহার করতে হয়। ছুটির একটা দিন যদি এই সব জোগাড়যন্ত্র করতেই কেটে যায় তা হলে পরিচর্যা কখন করবেন আর বিশ্রামই বা কখন নেবেন? মাঝেমধ্যে নিশ্চই ভাবেন? এরকম একটা উপকরণ যদি পাওয়া যেত যা ত্বক ও চুলের জন্য সমান উপকারী তা হলে খুব ভাল হত। আছে তো? ত্বক ও চুলের সব সমস্যার একটা সমাধান। টি ট্রি অয়েল। এটি এক প্রকারের এসেনশিয়াল অয়েল। এটি অস্ট্রেলিয়াম টি ট্রি-র পাতা ফুটিয়ে তৈরি করা হয়।
চুলের জন্য কীভাবে কার্যকরী এই টি ট্রি অয়েল
অল্প মাত্রায় নিয়মিত এই তেল চুলে লাগালে উপকার পাবেন। এই তেল চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে। চুল মজবুত করে এবং চুল দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুল পড়া ও চুলের ভঙ্গুরতা কম করে। অন্যদিকে খুশকির ক্ষেত্রেও এই তেল ভীষণ কার্যকরী। এই তেলের অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে। এর ফলে খুশকির কমানোর পাশাপাশি বারবার মাথা চুলকানো ও মাথার ত্বকের অন্যান্য সমস্যার সমাধান করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
টি ট্রি অয়েল দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা
ত্বকের যে কোনও সমস্যার সমাধানে অপরিহার্য এই টি ট্রি অয়েল। অন্যান্য এসেনশিয়াল অয়েলের মতই টি ট্রি অয়েল সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন না। এটা অন্য কোনও প্রসাধনী বা ক্যারিয়ার অয়েলের সঙ্গে ভাল করে মেশাতে হবে। এই তেলের অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল কার্যকারিতা রয়েছে। তাই শুষ্ক ত্বক, ত্বকে চুলকানি বা জ্বালা হলে এই তেল খুব ভাল কাজ করে। একদিকে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে আবার অন্যদিকে ব্রন সারিয়ে তোলে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
শুষ্ক, তৈলাক্ত কিংবা ব্রনপ্রবণ, আপনার ত্বকের ধরন যাই হোক না কেন, টি ট্রি অয়েল প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ভীষণ উপকারী। তাই চুল ও ত্বকের বিভিন্ন সামগ্রীর উপকরণ তালিকায় আজকাল এর নাম আকছার দেখতে পাবেন।