বার্ন: নিজের ফুটবলের আঁতুর ঘরে ফিরে এসেছেন রোনাল্ডো, সেটা অভিষেক ম্যাচ থেকেই স্পষ্ট| ১২ বছর পর ম্যাঞ্চেস্টারে ফিরে রেড ডেভিলসদের জার্সি গায়ে অভিষেক ম্যাচেই জোড়া গোল| তারপরই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড জিততে না পারলেও রোনাল্ডো গোল করলেন ১৩ মিনিটে|
ইয়ং বয়সের কাছে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-২ গোলে হার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের| কিন্তু রোনাল্ডোয় মুগ্ধ সকলে| এর আগে ম্যাঞ্চেস্টারের হয়ে একবারই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন রোনাল্ডো| এই রোনাল্ডো যেন সেদিনের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর|
১৩ মিনিটে রোনাল্ডোর গোল| বক্সের ভিতর রোনাল্ডোর পায়ে বল থাকলে যে তাঁকে আটকানো সম্ভব নয়, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি| ফার্ণান্ডেজের বাড়ানো বল বিপক্ষের গোলে পাঠাতে এতটুকু ভুল করেননি সি আর সেভেন| সেইসঙ্গে ম্যান ইউয়ের জয়ের রাস্তাটাও প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন তিনিই|
ম্যাচের ৪১ মিনিট থেকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ১০জন| কিন্তু রোনাল্ডো মাঠে থাকলে, সেই দশজনকেও আটকানো যে কতটা কঠিন, সেটা হয়ত খুব ভালভাবে টের পেয়েছে ইয়ং বয়েস ফুটবলাররা|
বিরতির ৬৬ মিনিটে সমতায় ফেরে ইয়ং বয়েস| কিন্তু তখনও অ্যাডভান্টেজে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড| ৭২ মিনিটে রোনাল্ডোকে তুলে নেওয়ার পরই ঘটে অঘটনটা| সোলসকারের এটাই হয়ত এদিন সবচেয়ে বড় ভুল ছিল|
যে লিঙ্গার্গকে রোনাল্ডোর পরিবর্তে নামিয়েছিলেন তিনি, সেই লিঙ্গার্ডের ব্যাকপাস থেকেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জালে বল জড়িয়ে দিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ইয়ং বয়েস| চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেই হার দেখতে হল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে|
ডাগ আউটে বসে তখন সেটা মেনে নিতে পারছিলেন না রোনাল্ডোও| কিন্তু কি আর করবেন, একরাশ আফসোস নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল তাঁকেও|