সাজলে মন ভাল থাকে। আপনি যদি এই বাক্যটি মেনে চলেন, তা হলে ধরে নিতেই হচ্ছে মেকআপ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাও আপনার ভীষণ পছন্দ। আপনার মনও ভাল থাকে। তবে মাঝেমধ্যেই বাদ সাধে আপনার ত্বক। তৈলাক্ত ত্বক বলে বাড়তি সময় ও ধৈর্য্ নিয়ে মেকআপ করেও আপনার সাজ বেশি সময় ধরে রাখতে পারেন না। ঘন্টাখানেকের মধ্যেই ঘেঁটে ঘ হয়ে যায়। আর যদি কপাল জোরে কখনও কখনও এই সমস্যার থেকে বেঁচে যান, তা হলে ব্রণর হানায় কাবু হন। তাই মেকআপের ক্ষেত্রে কাজে লাগান এই টিপসগুলি-
ব্যবহার করুন অ্যাকনে ফাইটিং ফাউনডেশন
ভাল মেকআপের জন্য ভাল বেস খুবই জরুরি। তাই তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে বেছে নিন অ্যাকনে ফাইটিং ফাউন্ডেশন। কেনার সময় লেবেল ভাল করে দেখে নিন। ফাউন্ডেশনের উপকরণ হিসেবে তাতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আছে কি না, যাচাই করে নিন। এটা যে শুধুমাত্র আপনার আ্যকনের দাগ ছোপ ঢাকবে তা নয় বরং ভবিষ্যতে যাতে ব্রণর হানা আর না হয় সেটাও নিশ্চিত করবে।
ক্রিমযুক্ত কনসিলার দিয়ে করুন কেল্লা ফতে
যখন ফাউন্ডেশন লাগানোর পরও মুখে দাগ ছোপ ঢাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে তখন কনসিলার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে ক্রিমযুক্ত কনসিলার (creamy concealer) ব্যবহার করুন। আর দাগ-ছোপের হাতে থেকে মুক্তি পান।
‘সেটিং পাউডার ইজ এ মাস্ট’
ত্বকের ধরন যাই হোক না কেন, মেকআপের শেষ পর্যায়ে সেটিং পাউডারে ভীষণ ভাল কাজ হয়। এর ব্যবহারে মেকআপে ঠিক থাকে এবং ত্বক দাগ ছোপহীন, সুন্দর ও সতেজ দেখায়।
মুখ উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করুন ন্যাচারাল ব্লাশ
মুখে ব্রণ থাকলে অনেকেই ব্লাশ ব্যবহার করতে ভয় পান। ব্লাশ আর ব্রণর কারণে ত্বকের লালচে দাগ দুই মিলে যদি সাজ নষ্ট হয়ে যায় তখন কী হবে। এই ভুলটা করবেন না। ব্লাশ ব্যবহার করুন, না হলে মেকআপ করার পরও ত্বক অনুজ্জ্বল দেখাবে। বরং ন্যাচারাল কালারের ব্লাশ ব্যবহার করুন। দেখতে ভাল লাগবে।
সবসময় পার্সে রাখুন ব্লটিং শিটস
অয়েল ব্লটিং শিট সব সময় সঙ্গে রাখুন। মেকআপের পর যখনই আপনার মনে হবে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বেড়েছে তখনই এই ব্লটিং শিট ব্যবহার করে মুখের অতিরিক্ত তেল মুছে ফেলুন।
প্রসাধন সামগ্রীর এই রদবদলে পকেটে একটু টান পড়বে ঠিকই, কিন্তু আখেরে লাভ হবে আপনারই।