বনগাঁ ও বহরমপুর: বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। একই দিনে দুই জেলা থেকে প্রায় হাজারেরও বেশি কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এবং রঘুনাথগঞ্জ থেকে দলে দলে কর্মীরা ভিড় জমালেন ঘাসফুল শিবিরে। সেই তালিকায় সাধারণ কর্মী সমর্থক যেমন আছেন তেমন আছেন বিজেপির আইটি সেলের কর্মীরাও।
সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর রামনগর রোড এলাকায় এক কর্মসূচিতে বিজেপি আইটি সেল সহ প্রায় ৭০০ নেতা, কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাপতি আলোরাণী সরকার, চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত সহ অন্যান্য নেতারা। যোগদান করার পর সদ্য তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, ‘বিজেপির ভেতরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। সেখানে সুষ্ঠ ভাবে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সাক্ষী হতে তৃণমূলে যোগদান।
অন্যদিকে, জঙ্গিপুর আর সামসেরগঞ্জে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে আগামী ৩০ নভেম্বর। তারপর থেকেই দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে সেখানে। বহরমপুরের কান্দি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রবিবার রাতে দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বহরমপুর টাউন তৃণমূল সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। এদিন প্রায় দেড়শ জন কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: পুজোর বাকি এক মাস, এখনও ভ্যাকসিন পাননি অসুরেরা
পাশাপাশি রঘুনাথগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় বিজেপি ছেড়ে প্রায় কয়েকশো বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিলেন সোমবার। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের প্রার্থী জাকির হোসেনের হাত ধরে তারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন এদিন। দলত্যাগীদের দাবি, উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। সেই উন্নয়ন তারা দেখতে পাচ্ছেন না। তাই তারা উন্নয়নের পথে শামিল হতে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিলেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন থাকলেও নেই সিরিঞ্জ, বাঁকুড়ায় বন্ধ টিকাকরণ