জীবনযাপনের সামান্য অনিয়মে যত তাড়াতাড়ি ওজন বাড়ে, সেই ওজন কমাতে কিন্তু তুমুল নাজেহাল হতে হয় আমাদের। বিশেষ করে ‘বেলি ফ্যাট’ মানেই বিপদ! এখানে মেদ জমে সবার আগে, আর কমতে সময় নেয় সবচেয়ে বেশি। তাই ওজন কমানোর সময় কীভাবে পুরোনো চেহারায় ফেরা যায় আমাদের লক্ষ্য থাকে সেটাই। ওজম কমানোর পাশপাশি স্বাস্থ্য কীভাবে ভাল রাখা যায় বেমালুম ভুলে যাই সে কথা। আর এখানেই ওজন কমাতে গিয়ে বেশ কিছু বড়সড় ভুল করে ফেলেন অনেকেই। তাই ওজন কমাতে গিয়ে এই বিষয়গুলো একেবারেই এড়িয়ে যাবেন না।
বেশি অ্যাক্টিভ থাকুন- সদ্য ওয়ার্কআউট শুরু করলে স্বাভাবিক ভাবেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। শরীর বারবার বিশ্রাম নিতে চাইবে। ওয়ার্কআউট করে ক্লান্ত শরীরকে ক্ষণিকের বিশ্রাম দেওয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত বিশ্রামে আলসেমি আসতে পারে। সেক্ষেত্রে মাঝে মধ্যেই খাটাখাটনি একটু কম করার ইচ্ছেও হতে পারে। তাই সকালে বা বিকেলে হাঁটার অভ্যাস করুন। সময় না পেলে অন্তত বাড়ির কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
হাইড্রেশনের দিকে নজর দিন- জিমে ওয়ার্কআউট হোক বা বাড়িতে শরীর চর্চা, শারীরিক কসরতের ফলে ঘাম ছড়ায়৷ তাতে আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি সৃষ্টি হয়। জল আমাদের জন্য ঠিক কতটা কার্যকরী তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিতে বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন সুস্থ মানুষের দিনে অন্তত আড়াই লিটার জল খাওয়া উচিত।
ব্রেকফাস্ট ভুললে চলবে না- ওজন কমানো নিয়ে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন ব্রেকফাস্ট না করলে ওজন কমবে। কিন্তু হয় ঠিক তার উল্টোটা। তাই ব্রেকফাস্ট না ভুলে বরং ওটস বা রাগি খেতে পারেন, আরও ভাল হয় আপনার জন্য বরাদ্দ ডায়েট চার্ট মেনে যদি ব্রেকফাস্ট করেন। তাই সকালের আহার ঠিকঠাক হলে সারাদিন শরীরে ফুর্তি বজায় থাকবে।