বোলপুর: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। সদ্য সন্তানের জন্ম দেওয়া মায়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। মৃতার পরিবারের লোকজনেরা বিক্ষোভ দেখায় হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে বোলপুর থানার পুলিশ। মৃতার নাম আগমনী হাজরা। তিনি নানুর থানার বড়া সাঁওতা গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের লোকেদের দাবি, ঠিকঠাক সেলাই হয়নি তাই মৃত্যু হয়েছে আগমনীর।
বর্ধমান জেলার রাজুর গ্রামের বাসিন্দা আগমনী হাজরার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নানুর থানার সাওতা গ্রামের সুজয় হাজরার। বছর সাতেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। ৬ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁদের। গত চার তারিখে গর্ভবতী অবস্থায় আগমনী হাজরাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর একটি ছেলে হয়। চারদিনের মাথায় ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে যায় আগমনীর পরিবার। শনিবার বাড়িতে গিয়ে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করেন আগমনী। পেট দিয়ে ব্লিডিং হতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তারপরই রবিবার সকালে হসপিটালে মৃত্যু হয় আগমনী হাজরার।
আরও পড়ুন: ছেলের সামনেই বসের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হলেন মহিলা কনস্টেবল
মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রোগীর পরিবাররা। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনে রোগীর পরিজনরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরিবারের অভিযোগ, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার জন্যই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঠিকঠাক করে চিকিৎসা হয়নি। যে ঘরে আগমনীকে রাখা হয়েছিল সেটিতে প্রচন্ড দুর্গন্ধ। তাঁদের বক্তব্য, রোগী মৃত্যু নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। আগমনীর স্বামী জানিয়েছেন, বাচ্চা প্রসবের পর ঠিক করে সেলাই করেননি চিকিৎসক, ফলে প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। তাতেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর। যদিও বোলপুর হাসপাতালে সুপারের সাফাই, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ঠিক কী কারণে রোগীর মৃত্যু হল।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে প্রচারে নেই ‘বাবুল’, মিডিয়া জানে, দল জানে না, বললেন দিলীপ