কলকাতা: শিক্ষক শিক্ষিকাদের ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করতে থাকছে না আর কোনও সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের পথ দেখাল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। গত মাসের শুরুর দিনে শুরু হয়েছিল ওই পোর্টালের পথ চলা। যার গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশিত হয়েছে শুক্রবার। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন ও সংযোজন করা হয়েছে স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে।
আগে সারা চাকরি জীবনে একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা একবারই জেনারেল ট্রান্সফারের বা বদলির সুযোগ পেতেন। এখন নতুন আইনে একের অধিকবার আবেদনের সুযোগ পাবেন। তবে তা শেষ বদলির মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার পর।
১. জেনারেল ট্রান্সফার বা সাধারণ বদলির ক্ষেত্রে আগে চাকরিতে যোগ দেওয়ার ৭ বছর পর আবেদন করার সুযোগ মিলত। কিন্তু নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে ৭ নয় ৫ বছর পরেই সাধারণ বদলির জন্য আবেদন করা যাবে।
আরও পড়ুন- ‘আমিও কাশ্মীরি পণ্ডিত’, জম্মুতে বললেন রাহুল, ‘সুযোগসন্ধানী’ বলে খোঁচা বিজেপির
২. মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে বদলির ক্ষেত্রে আগে সুগার প্রেসারের মতো কারণ দেখিয়ে অনায়াসে বদলি নিয়ে নিতে পারতেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এখন আর তা করা যাবে না। মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে বদলির ক্ষেত্রে বেশকিছু মাপকাঠি নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষা দফতর। রেনাল ফেলিওর, ক্যান্সার, হার্ট সংক্রান্ত অসুস্থতা, থ্যালাসেমিয়া, যদি সংশ্লিষ্ট শিক্ষক স্ত্রী বা স্বামী, বা সন্তানের হয় তাহলে স্কুল পরিদর্শকের কাছে আবেদন করলে মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে ১৪ দিনের মধ্যে সমাধান করতে হবে। জেলা সিএমওএইচ-এর নির্দেশে ওই কাজ করবে মেডিক্যাল বোর্ড।
ক্লাসরুমে শিক্ষিকা
৩. সহকারি প্রধান শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা পদে উন্নীত হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা ১৫ বছর পর জেনারেল ট্রান্সফারের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন- শহরে ফের মায়ের কোল থেকে পাচার হল শিশু, তদন্তে লালবাজার
৪. শিক্ষিকা যদি সামাজিক অবহেলার শিকার হন তাহলে আবেদন করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বদলির সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে ওই শিক্ষিকার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
৫. বদলির ক্ষেত্রে একটি স্কুলের সর্বাধিক ১০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলির সুযোগ পাবেন বা স্কুল ১০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ছাড়বে।
রাজ্যের অধিকাংশ শিক্ষক সংগঠন বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে নয়া সংশোধনীগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে। গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল আইনি বৈধতা পেল বলে মত তাদের। ২০১৫-তে শেষ বারের মতো বদলি সংক্রান্ত আইনে সংশোধন হয়েছিল।