নয়াদিল্লি: এক সময়ের বাম দূর্গ ত্রিপুরায় (Tripura) আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে সিপিএমের (CPM) পার্টি অফিস৷ হামলা হয়েছে দলের নেতাদের বাড়িতে৷ বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যমও৷ সিপিএম সমর্থিত একটি সংবাদপত্রের অফিসে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে৷ তার পর থেকে ত্রিপুরার বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে৷ ঘটনার দায় আগেই বিজেপির (BJP) ঘাড়ে চাপিয়েছে সিপিএম৷ এবার দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন৷ তাঁর অভিযোগ, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিজেপির উন্মত্ত কর্মীরা সিপিএমের পার্টি অফিসে হামলা করেছে৷ রাজ্য সরকার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ৷ ত্রিপুরায় সিপিএমের পার্টি অফিসে হামলা আটকাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ইয়েচুরি৷
আরও পড়ুন: তালিবান আতঙ্কে কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
৮ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরার কোন কোন পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর হয়েছে তা সবিস্তারে চিঠিতে উল্লেখ করেন সীতারাম ইয়েচুরি৷ তিনি লেখেন, পশ্চিম ত্রিপুরা, গোমতি, সেপাহিজালা জেলা কমিটির অফিস, উদয়পুর, সন্তর বাজার এবং বিশালগড়ের কমিটি অফিস হয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা ভাঙচুর করা হয়েছে৷ বাদ যায়নি আগরতলার সদর দফতরও৷ আগরতলার রাজ্য কমিটির অফিসে হামলা হয়েছে৷ অফিসে ঢুকে গ্রাউন্ড এবং ফার্স্ট ফ্লোরে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা৷ তার পর অফিসের সামনে থাকা দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷৷ ত্রিপুরার অন্যতম শ্রদ্ধেয় নেতা দশরথ দেবের মূর্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়৷ দলের অনেক নীচু তলার কর্মীর বাড়িতেও হামলা হয়েছে৷ কোথাও কোথাও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে৷ ‘দৈনিক দেশের কথা’ নামে সিপিএম সমর্থিত সংবাদপত্রের অফিসেও হামলা হয়েছে৷
সীতারাম-মোদি৷ ফাইল চিত্র৷
আরও পড়ুন: পরা যাবে না জিন্স-টিশার্ট, কর্মীদের কড়া নির্দেশ জেলাশাসকের
ইয়েচুরির অভিযোগ, পুরো হামলাটাই ছিল পূর্বপরিকল্পিত৷ এত কিছুর পরেও হামলাকারীরা পার পেয়ে যাওয়ায় বোঝা যাচ্ছে এর পিছনে রাজ্যেরও পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে৷ সিপিএমের সদর দফতরে হামলা হল৷ উন্মত্ত বিজেপি কর্মীরা হামলা ঘটিয়েছে৷ হামলার পিছনে পুলিশ-প্রশাসনের মদত ছিল বলে অভিযোগ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের৷ তিনি লেখেন, ঘটনার সময় সেখানে পুলিশও উপস্থিত ছিল৷ কিন্তু নীরব দর্শক সেজে দাঁড়িয়েছিল৷ রাজ্য সদর দফতরের সামনে কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ান ছিলেন৷ কিন্তু হামলার একঘণ্টা আগে তাদের অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ এতে বোঝা যায়, রাজ্য সরকারেরও পরোক্ষে ভূমিকা ছিল৷ শাসক দল বিরোধীদের আটকাতে পারছে না৷ তাই হামলায় মদত দিয়েছে তারা৷