কলকাতা : বেহালা কাণ্ডের জট খুলতে তৎপর কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে লাল বাজার থেকে আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজ পায়নি পুলিশ। আততায়ী ওই অস্ত্র কোথায় ফেলেছে, তা খুঁজে বার করতে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থলের প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে অস্ত্রের খোঁজ চলে।
পরিকল্পনা করেই এই খুন বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন। বাড়িতে যে ধরনের ছুরি বা বঁটি ব্যবহার করা হয় খুন করার সময় তেমন কিছু ব্য়বহার করা হয়নি বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। খুন ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বেহালার পর্ণশ্রী এলাকার ওই ফ্ল্যাটের চারদিকে প্রচুর বন-জঙ্গল, জলাশয় ও মাঠ রয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন ওই সব জায়গায় অস্ত্র ফেলে থাকতে পারেন আততায়ী। তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলের ২-৩ কিলোমিটার এর মধ্যে থাকা সিসি টিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন – কাঁকসায় নার্সিং স্টাফকে জঙ্গলে টেনে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেফতার ২
গত ৭ সেপ্টেম্বর বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার সেন পল্লীর একটি ফ্ল্যাটে মা ও ছেলের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও বেহালার জোড়া খুনের ঘটনার কিনারা করতে পারেননি তদন্তকারীরা।
এই ফ্ল্যাটেই পাওয়া যায় মা ও ছেলের গলা কাটা দেহ
মা ও ছেলে খুনের ঘটনায় অনেক অথ্যই পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ একজন নয়, একাধিক লোক খুনের ঘটনায় জড়িত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে, খুনের পর তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতে যে সমস্ত উপায় আততায়ী অবলম্বন করেছিল, তা নেহাতই কাঁচা কাজ বলে মনে করছে পুলিশ।
খুনের পর তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতে যে সমস্ত উপায় আততায়ী অবলম্বন করেছিল, তা নেহাতই কাঁচা কাজ বলে মনে করছে পুলিশ। খুনের পর আততায়ী সম্ভবত ফ্ল্যাটের বাথরুম ব্যবহার করেছিল। সম্ভবত স্নানও করেছিল সে। সেই তথ্য-প্রমাণ ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।
এইখানেই পাওয়া গিয়েছিল সুস্মিতার গলাকাটা মৃতদেহ
আরও পড়ুন – ছত্তীসগড় পুলিশ সাহায্য করেনি, সিবিআইয়ের সহযোগিতা চেয়ে হাইকোর্টে মামলা কলকাতা পুলিশের
এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই আটক করেছে মৃতার স্বামী তপন মন্ডলকে। তাঁর আংটির মধ্যেও পাওয়া গিয়েছে রক্তের দাগ। মৃত মা এবং ছেলের দেহে মিলেছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। মৃত মহিলার নখে রক্তের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। যা ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে, সেই রিপোর্টের বিষয়ে পুলিশ এখনও কিছুই জানায়নি।
মৃতার স্বামী তপন মন্ডল
বার বার প্রশ্ন উঠছে খুনি কি তবে মৃতের পূর্ব পরিচিত? দিনের বেলায় খুন হলেও বাকি আবাসিকরা কেন কোনও আওয়াজ পেলেন না? এই সব প্রশ্নেরই জট খোলার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।