লখনউ: দুই দিনের মধ্যেই বদলে গেল ছবিটা। চলতি সপ্তাহের মংগ্লবার দলীয় জনসভা থেকে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট গড়ে নির্বাচনে লড়ার কথা শোনা গিয়েছিল AIMIM প্রধান আসাদুদ্দিনের ওয়াইসির গলায়। আর বৃহস্পতিবার সেই দলকেই আক্রমণ করলেন প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে। একই ইস্যুতে কাঠগড়ায় তুললেন বিএসপি এবং কংগ্রেসকে।
দলের শক্তি মজবুত করতে উত্তরপ্রদেশ সফর করেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। নিত্যদিন বিভিন্ন এলাকায় চলছে তাঁর জনসভা। করোনা অতিমারির মাঝেও বেশ ভিড় হচ্ছে সেই সকল সভায়। বৃহস্পতিবার তেমনই একটি দলীয় সভায় বারাবাঙ্কির কাটারা এলাকায় হাজির ছিলেন আসাদুদ্দিন। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে অবিজেপি তিন দলকে আক্রমণ করেছেন তিনি।
বিজেপি ধর্মনিরপেক্ষতার তোয়াক্কা না করে মুসলিম এবং দলিতদের উপরে আক্রমণ করে। বিজেপি প্রত্যক্ষ উপায়ে সেই কাজ করলেও উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য দলগুলি সেই একই কাজ পরোক্ষে করে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন আসাদুদ্দিন। তাঁর কথায়, “ইছাকৃতভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা ও মুসলিমদের দুর্বল করা হছে এবং দলিতদের টার্গেট করা হচ্ছে। বিজেপি অবলীলায় এই সকল কাজ করে যাচ্ছে আর বাকি দলগুলি চুপ করে রয়েছে।”
আরও পড়ুন- বিহারে বেশিদিন টিকবে না বিজেপি-জেডিইউ সরকার: তেজস্বী যাদব
এই বাকি দলগুলি বলতে মূলত উত্তরপ্রদেশের প্রধান অবিজেপি দলগুলিকেও নিশানা করেছেন আসাদুদ্দিন। সেই দলগুলি হল- সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি এবং কংগ্রেস। এই মুহূর্তে বিজেপি উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় থাকলেও বাকি দলগুলিও ওই রাজ্য শাসন করেছে বিভিন্ন সময়ে। মুসলিমদের ভোটে সরকার গঠন করলেও মুসলিম সমাজের কোনও উন্নয়ন করেনি ওই সকল দল। উলটে বিজেপির মুসলিম বিদ্বেষী ক্রিয়াকলাপে পরোক্ষে মদত দিয়েছে।
আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। ফাইল ছবি
আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, “সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, তিন তালাক নিয়ে কোন প্রতিবাদ করেনি।” এই অবস্থায় নিজেদের স্বার্থে মুসলিম প্রার্থীদের ভোত দেওয়ার জন্য ইসলামের অনুসারীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- তেড়ে আসছে ভয়ঙ্কর সৌরঝড়, বিশ্বজুড়ে বন্ধ হতে পারে নেট পরিষেবা
গত মঙ্গলবার অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম)- র প্রধান বিজেপি বিরোধী ঐক্য সঙ্গে হাত মেলানোর বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আমরা জোট গড়তে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের যে দাবি দেওয়া আছে সেগুলো সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকে মেনে নিতে হবে।” দিন দুই পরে তাঁর মুখে শোনা গেল নয়া সুর।
অখিলেশ-আসাদুদ্দিন-যোগী
বছর ঘুরতেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। যা নিয়ে উত্তর প্রদেশ তো বটেই গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু করেছে। বেশ কয়েকবার যোগী আদিত্যনাথ সহ উত্তর প্রদেশ নেতৃত্ব দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহ, নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এদিকে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি কিংবা অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলও এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত।