এবছর গণেশ চতুর্থী পালন করতে পারছেন না ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সলমন খান। যদিও ফ্রি বছরের মতো এ বছরও সলমনের বাড়িতে আগামীকাল শুক্রবার শুরু হবে গণেশ বন্দনা। প্রতি বছরের মতো ধুমধাম করেই প্রায় দুদিন ধরে পালিত হবে গণেশ পুজো গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে। খান পরিবারের কর্তা সেলিম খান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই পুজোর তদারকি করেন। কিন্তু এ বছর সলমনকে ছাড়াই হবে গণেশ পুজো। কারণ এই মুহূর্তে তিনি তুরস্কে রয়েছেন। সেখানে চলছে তার ‘টাইগার থ্রি’ ছবির শুটিং।
আরও পড়ুন: তুরস্কে শাহী খানাপিনা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে হয়তো তিনি একবার পুজোতে আসার চেষ্টা করতেন। কিন্তু এই করোনার শৃঙ্খলভেদ করে আসতে গেলে শুটিং শিডিউল এর বিরাট ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই ভাইজানের ইচ্ছে থাকলেও বাড়ির গণেশ চতুর্থীতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না।এবার তিনি সুদূর তুরস্ক থেকেই গণেশ প্রণাম সারবেন। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখেই তিনি শুটিংয়ের কাজে তুরস্ক থেকে অস্ট্রিয়ার দিকে পাড়ি দিচ্ছেন। মসৃণ গতিতে ‘টাইগার থ্রি’র শুটিং এগোচ্ছে।
সলমনের নামের পদবীতে ‘খান’ থাকলেও তিনি এবং তার পরিবার প্রতিবছর ধুমধাম করে গণেশ পুজোর আয়োজনে কোনও খামতি রাখেন না। কট্টর মৌলবাদীদের জারি করা ফতোয়ায় তিনি কখনো কর্ণপাত করেননি। সিদ্ধিদাতা গণেশের কাছে সুখ- সমৃদ্ধি লাভের আশায় সমগ্র ভারতবাসীএই উৎসব পালন করেন। করোনার কারণে এ বছর বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে বটে। গোটা দেশে পুজো হলেও মহারাষ্ট্রে তা মহা ধুমধাম করে পালিত হয়। পুরাণ-এ লেখা আছে এই সময় জন্মেছিলেন সিদ্ধিদাতা গণেশ। হিন্দু ধর্মে গণেশকে সংকট মোচনের দেবতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস গণপতি আরাধনায় সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই হিন্দু ধর্মে যেকোন পুজোর আগে গণেশের নাম উচ্চারণ করে পুজো শুরু হয়। গণেশের পুজো করলে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি আসে। তাই নিষ্ঠাভরে সলমন হিন্দু দেবতা গণেশ পুজো করেন এবং বলেছেন আগামী দিনেও করবেন।