কলকাতা: ভাটপাড়ার হিন্দিভাষীকে ভবানীপুরে এনে উপ-নির্বাচনে ভোট গোছাতে চাইছে বিজেপি। ভাটপাড়ার হিন্দিভাষী অর্জুন সিং। যিনি এক সময় তৃণমূল কংগ্রেসেরই ভোট-কান্ডারি ছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনার ভোটে এক সময় ঘাসফুলের হয়ে বড় দায়িত্ব থাকত তাঁর। ভবানীপুরের উপ নির্বাচনের এ বার তাঁকেই ভরসা করছে পদ্ম শিবির।
ভবানীপুরে ৩০ সেপ্টেম্বর উপ-নির্বাচন। এ দিন অর্থাৎ বুধবার থেকেই ভোট-প্রচার শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহু জায়গায় দেওয়াল লিখনও শেষ। সে দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছে বিজেপি’র আইনজীবী সেলের প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের নাম। তিনিও অবাঙালি। দলের হয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অংশ নিয়েছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে তিনি খুব একটা ধারাল মুখ নন।
আরও পড়ুন: সাফল্যের নয়া রেকর্ড গড়ল মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে সরকার প্রকল্প
একুশের ভোট প্রচারের সময় হুইলচেয়ারে মমতা
কেন ভবানীপুরের মত জায়গায় অবাঙালি হিন্দিভাষীদের উপর ভরসা করছে বিজেপি? কেন ভাটপাড়ার অর্জুন সিংকে অবসার্ভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে? বিজেপি সূত্রের খবর গত বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ভবানীপুরের ২৮৮ টি বুথের মধ্যে ৯৮টি বুথে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এই সংখ্যাটাই বাড়াতে চাইছে গেরুয়া শিবির। ভবানীপুর বিধানসভায় অবাঙালি ভোটারের সংখ্যা অনেকটাই বেশি বাঙালি ভোটারের তুলনায়। সেই হিসেব মনে রেখেই সম্ভবত হিন্দিভাষীদের সামনের সারিতে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, কলকাতা শহরের ৬০ শতাংশ হিন্দু বাঙালি ভোটই গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে। বিজেপি এই সহজ সরল অঙ্ক ভুলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন ঘোষণার পরেই জঙ্গিপুরে বিজেপি, কংগ্রেস ছেড়ে সব তৃণমূলে
গত ভোটের হিসাব বলছে, ভবানীপুর কেন্দ্রের ৮টি ওয়ার্ডের মধ্য়ে ৬টি ওয়ার্ডই তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধান রয়েছে ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূল ওই ওয়ার্ডে এগিয়ে ২১হাজার ৩৭৯ ভোটে। বাকি দুই ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি। এর মধ্যে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাসিন্দাই অবাঙালি হিন্দিভাষী। এই ওয়ার্ডেই বিজেপি ২হাজার ৯২ ভোটে এগিয়ে ছিল। হিন্দিভাষী ভোটের এই সংখ্যার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত অর্জুনকে ভবানীপুরে ভোট-সারথি করেছে বিজেপি।