শান্তিপুর : পঞ্চায়েতে অনাস্থা ভোটের দিন উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সেখানে অন্যান্য সদস্যদের হাতে তাড়া খান তিনি। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওরকমে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। সেই নিয়ে ধুন্ধুমার নদীয়ার শান্তিপুরে। এই ঘটনায় আক্রান্ত বিজেপির একাধিক নেতাকর্মীরা।
নদীয়ার শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানে অনাস্থা ভোটের আবেদন করে বিজেপি। ১৫ টি আসনের বেলঘড়িয়া ২ পঞ্চায়েতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৃণমূল ৩ টি, নির্দল ৬ টি এবং বিজেপি ৬ টি আসন পায়। পরবর্তীতে নির্দলের সঙ্গে তৃণমূল জোট করে পঞ্চায়েত দখল করে। প্রধান হন দীপক মন্ডল। উপপ্রধান হন বিপ্লব প্রামানিক।
প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন বিজেপি সদস্যরা। বর্তমানে ওই পঞ্চায়েতে সদস্য তৃণমূল-নির্দল জোটে ৮ এবং বিজেপি শিবিরে ৭ জন। হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার প্রশাসনের তরফ থেকে বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অনাস্থা ভোট শুরু হয়। সকাল থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। তৃণমূল কর্মীরা একে একে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। জগন্নাথ সরকারকে দেখেই তাড়া করে তৃণমূল কর্মীরা। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওরকমে সাংসদদের নিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীরা আক্রান্ত হন। অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানদের বেঁধে রাখে পরিবার, সামর্থ্য নেই চিকিৎসার
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন কার্যত শাসক দলের দল দাসে পরিণত হয়েছে। যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন চলছিল। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই বিজেপি সাংসদ এসে পরিস্থিতি উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেছে। পুলিশের সামনেই তাদেরকে আক্রান্ত হতে হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রানাঘাটের এসডিপিও প্রবীর মণ্ডল।
আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষকের বদলি রুখতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ