কলকাতা: বিচার ব্যবস্থা কি সত্যিই নিরবে নিভৃতে কাঁদে ?
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি সত্যিই কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলি হেলনে পরিচালিত হয় বা হচ্ছে?
কোথাও যেন এই প্রশ্নগুলো আরও জোরালো হচ্ছে।
গত সোমবার কয়লা কান্ড নোটিস পাঠিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৯ ঘন্টা জেরা করেছে ইডি। ইডি-র উত্তর দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু তারপরই ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় অভিষেককে হাজিরা দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠালো ইডি। শুধু তাই নয়, আজ বুধবার হাজির থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও তৃণমূল সাংসদ জানিয়ে দিয়েছেন মাত্র ২৪ ঘন্টা নোটিসে তাঁর পক্ষে কলকাতা থেকে দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়।
সোমবার ইডির দফতরে হাজিরা দিতে ঢুকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি নেতারা রাজ্যজুড়ে প্রচারে সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানাভাবে আক্রমণ করেছিলেন। কিন্তু কোনও সময় অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ সামনে আনতে পারেননি। ভোট মিটে যাওয়ার পরও সেই বৃথা চেষ্টা বিজেপি নেতারা করে চলেছেন। তদন্তের কারণে গত মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। নির্দেশ মত গত সোমবার দিল্লিতে ইডি দফতরে গিয়ে তাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তৃণমূল সংসদ। ৯ ঘণ্টা ধরে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন অভিষেক। লিখিত উত্তর দিয়েছিলেন সেদিন। কিন্তু ঠিক তার পরদিনই আবার অভিষেককে নোটিস পাঠায় তারা। আজ বুধবার হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: আইকোর মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠাল সিবিআই
কিন্তু ২৪ ঘন্টার নোটিসে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতা থেকে দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দেওয়া যে একটা অসম্ভব ব্যাপার সে কথা স্পষ্ট করে তদন্তকারী অফিসারদের জানান তৃণমূল সাংসদ। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রতি মুহূর্তে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং কর্মসূচিতে যোগ দিতে হচ্ছে অভিষেককে। এছাড়াও দলের অতি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ায় রয়েছে একাধিক গুরুদায়িত্ব।
আরও পড়ুন: অর্জুন সিং -এর বাড়িতে বোমা, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে টুইটে তোপ রাজ্যপালের