করোনা পরিস্থিতিতে সঙ্কটের মুখে বিশ্ব অর্থনীতি৷ বিশেষজ্ঞদের মত, একমাত্র চীন এই সঙ্কট থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ভারতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দফায় দফায় জারি হয়েছে বিধি নিষেধ৷ শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিতেও মন্দার প্রভাব ক্রমশ বেড়েছে৷ মহামারির প্রকোপে দেশে ভারি শিল্প ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ৷ উৎপাদনের পরিমাণ কমার পাশাপাশি ভোগ্যপণ্যের চাহিদা পৌঁছেছে তলানিতে৷
আরও পড়ুন এটিএম ব্যবহারে নয়া নির্দেশিকা
এর জেরে সমস্যার মুখে পড়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা৷ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বহু মানুষও কর্মহীন হয়ে পড়েছে৷ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেট্রোপণ্যের দাম৷ অধিকাংশ রাজ্যে বন্ধ রয়েছ গণ পরিবহণ৷ প্রায় মাস ছয়েক অধিকাংশ শিল্প কারখানায় উৎপাদন বন্ধ৷ তবে রিজার্ভ ব্যঙ্কের মাসিক বুলেটিনের ভিত্তিতে কৃষিকাজ গ্রামীণ অর্থনীতিতে আশার আলো জাগিয়েছে৷ স্পর্শহীন ক্ষেত্রগুলিতে চাহিদা ও সুযোগ দুই বেড়েছে৷ রিজার্ভ ব্যঙ্কের মত, টিকাকরণ যত দ্রুতগতিতে বাড়বে ততই ভরসা বাড়বে মানুষের মনে৷
আরও পড়ুন করোনা প্রবাহে কমছে আয়, বাড়ছে বেকারত্ব
কর্মক্ষেত্রে যোগদান বাড়লে অর্থনীতিও হাল ফিরে পাবে৷ করোনার প্রথম ধাক্কা সামলানোর জন্য নগণ্য হলেও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র৷ কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কার ক্ষেত্রে তেমন কোনও অনুদানের কথা ঘোষণা করেনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক৷ উৎপাদন ও কর্মহীনতা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যের কর সংগ্রহে প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ কেন্দ্রীয় তরফে লকডাউন ঘোষণা না করা হলেও রাজ্যগুলিতে কড়া বিধিনিষেধ রয়েছে৷ সেই প্রভাবই কার্যত পড়তে শুরু করেছে দেশীয় অর্থনীতিতে৷