কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদককে কোনও অন্তর্বর্তী কালীন রক্ষাকবচ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এখনই মামলা নিষ্পত্তি করলেন না বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। শুভেন্দু অধিকারীর মামলার সঙ্গে সামঞ্জস্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
মঙ্গলবার শ্যামল আদকের আইনজীবী পরমজিত সিং পাটুয়ালিয়া দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারীর মামলার সঙ্গে এই মামলার সামঞ্জস্য রয়েছে। তবুও আমার মক্কেলের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা আদালতের সামনে তুলে ধরছি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হলদিয়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন চেয়ারম্যান ছিলেন শ্যামল আদক। তিনি হলদিয়া পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর পিতা ছিলেন।
১৫ জানুয়ারি ২০২১ চেয়াম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। কারণ, তিনি শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গেই বিজেপিতে যোগদান করেন। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর শ্যামল আদকের বাড়ি ,সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়। হলদিয়া থানায় অভিযোগ জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। চলতি বছরের জুলাই মাসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন- শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ সিঙ্গল বেঞ্চের, চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য
“তারা মা রোড লাইন নামে শ্যামল আদকের পার্টনারশিপ ব্যবসা আছে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে হলদিয়া থানায় অভিযোগ করা হয় যে, আমি হলদিয়া ড কে একটি সিন্ডিকেট চালাই এবং প্রতি লরি থেকে ১০০ টাকা করে তোলা তুলি। শুভেন্দু অধিকারীর মতোই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলি আনা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই মাসে।” এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। চলতি বছরের ৪ মে আজাদ হিন্দ বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এবং আমার বেশ কিছু সম্পতি নষ্ট করা হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা। ৩১ অগস্ট আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন নিম্ন আদালত। আমার স্ত্রী দুরারোগ্য ক্যানসারের আক্রান্ত। পুলিস জুলাই মাস থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই আমার পরিবারকে বিরক্ত করছে। আমি,আমার পরিবার বহু অভিযোগ করেছি হলদিয়া থানায়। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।অথচ আমার বিরুদ্ধে একটি এফ আই আর করা হয়েছে। লরি থেকে টাকা তোলার অভিযোগে।
আরও পড়ুন-ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রার্থীপদ নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানালেন দিলীপ
বিচারপতি জানতে চান আদালতের কাছে কি চাইছেন? উত্তরে আইনজীবী জানান, শুভেন্দু অধিকারীর মতোই শ্যামল আদকের অভিযোগের তদন্তের ওপর স্থগীতাদেশ জারি করুক আদালত।
বিচারপতি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর মামলার সঙ্গে ২২৬এ এই মামলার কোন সম্পর্ক নেই। এই যুক্তিতে এই মামলার কোন গ্রহণ যোগ্যতা নেই। আইনজীবী বলেন, আমাদের কিছু সময় দেওয়া হোক। আগামী মঙ্গলবার ফের শুনানি ধার্য হলেও কোন অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিলেন না।