লখনউ: করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল। সম্প্রতী বিভিন্ন স্কুলে করোনাবিধি মেনে শুরু হয়েছে পঠনপাঠন। আর স্কুল খুলতেই প্রকাশ্যে এল দুর্দশার ছবি। নৌকা বেয়ে স্কুলে যাচ্ছে এক ছাত্রী। কোনও নদী পার করতে হচ্ছে না তাকে। বন্যায় ডুবে থাকা গ্রাম পেরিয়ে স্কুলে যাতে নৌকার সাহায্য নিতে হচ্ছে ওই একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াকে।
দীর্ঘদিন পরে স্কুল চালু হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা দিয়েছে নয়া জটিলতা। কারণ বন্যার কারণে ডুবে রয়েছে সমগ্র গ্রাম। বিপাকে নৌকায় চড়ে স্কুলে যাচ্ছে ওই কিশোরী ছাত্রী। আরও বড় বিষয় হচ্ছে ওই নৌকা নিজেই পরিচালনা করছে ছাত্রীরা। নদীতে নৌকা পার করার জন্য মাঝি থাকে। কিন্তু বন্যায় ডুবে থাকা গ্রামের পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেই ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন- তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের পাশে থাকার বার্তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের
সেই কারণেই নৌকার দাঁড় হাতে তুলে নিতে হয়েছে ওই পড়ুয়াকে। নিত্যদিন ৮০০ মিটার রাস্তা নৌকার দাঁড় বেয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে তাঁকে। একই উপায়ে ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে। জলে ডুবে রয়েছে বাড়ির নিচের তলা। সেই কারণে মইয়ের সাহায্যে উপরে উঠতে হচ্ছে জীবন ধারণের জন্য।
আরও পড়ুন- তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে কাবুলে পাক গুপ্তচর সংস্থার প্রধান
আলোচিত ছাত্রীর নাম সন্ধ্যা সাহানি। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সে। অযোধ্যা দাস গার্ল ইন্টার কলেজের পড়ুয়া ওই মেয়েটির বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বাহরামপুর জেলা সপ্তাহ খানেক ধরে বন্যার জলে ডুবে রয়েছে। এরই মাঝে স্কুল পড়ুয়া সন্ধ্যার কীর্তি নজর কেড়েছে নৌকায় করে তার স্কুলে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন- আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদির নামে প্রচার করবো, কেন্দ্রকে কটাক্ষ কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের
এই বিষয়ে ছাত্রী সন্ধ্যা সাহানি বলেছে, “আমি একটা অত্যন্ত প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করি। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। সেই কারণে স্মার্টফোন কিনতে পারিনি। তাই অনলাইন ক্লাস করাও হয়নি। অনেকদিন পরে স্কুল চালু হওয়ায় আমার স্কুলে যাওয়া আবশ্যক হয়ে পরে। কিন্তু সেই সময়ে আবার বন্যার প্রকোপ দেখা দেয় গ্রামে। তাই নৌকা নিয়েই স্কুলে যাতায়াত শুরু করি।”