কলকাতা: প্রত্যাশা মতোই ভবানীপুর কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে রবিবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস৷ জঙ্গিপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হচ্ছেন জাকির হোসেন৷ আর সামশেরগঞ্জে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন আমিরুল ইসলাম৷
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জয়ী হন। পরে ২১ মে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। অন্যদিকে, ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনে জিতে আসতে হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন- ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কেন হচ্ছে না, মমতার বার্তা নিয়ে কেন্দ্রের দরবারে রাজ্যের মন্ত্রীরা
শনিবার ভবানীপুর কেন্দ্রে উপ নির্বাচনে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মনোনয়ম জমা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রবিবার সন্ধেয় তৃণমূল সূত্রে এমনটাই খবর৷ কোনও রকম সমস্যা না হলেই ওই দিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়ন জমা দেবেন৷
আরও পড়ুন- ভবানীপুর কেন্দ্রে দেওয়াল লিখন দেখে দাঁড়িয়ে পড়লেন মমতা
শনিবার নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে, ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। সেই ঘোষণা শুনেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ফ্লেক্স, পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। ভাবনীপুরের একাধিক জায়গায় তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনী ফ্লেক্স টাঙাতে শুরু করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়হিন্দ বাহিনীর নেতৃত্বে দেখা যায়। ফ্লেক্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘরের মেয়ে বলে দাবি করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’। দ্বিতীয় লাইনে লেখা, ‘ভবানীপুর কেন্দ্রে আমাদের প্রিয় দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপুল ভোটে জয়ী করুন।’
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থীপদ নিয়ে সন্দিহান অধীর
কমিশনের বক্তব্য, রাজ্যের কোনও মন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে না এল সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে। সংবিধানের ১৬৪(৪) ধারা দেখিয়ে এই উদাহরণ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ অনুরোধে ভবানীপুরে ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও কমিশনের এই যুক্তি মানতে চায়নি বিজেপি।
আরও পড়ুন- বিজেপি মুক্ত গণতান্ত্রিক ভারত গড়ার আহ্বান মমতার
এই উপনির্বাচনের প্রচারে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা৷ করা যাবে না বাইক ব়্যালিও৷ রাজ্যের কোভিড বিধিকে মাথায় রেখে প্রচারে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)৷ তাতে বলা হয়েছে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন কোনও মিছিল করা যাবে না৷ কোনও রোড শো করা যাবে না৷ বাইক-মোটর বা সাইকেল মিছিল বের করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি৷ রাস্তায় মিটিংয়ে সর্বাধিক ৫০০ জন লোক উপস্থিত থাকতে পারবে৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন রিটার্নিং অফিসের ১০০ মিটারের মধ্যে তিনটের বেশি গাড়ি নিয়ে ঢোকা যাবে না৷