রায়গঞ্জ: শনিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর দিনাজপুরে বিজেপিতে ভাঙন-জল্পনা। এ বার বেসুরো রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর অভিযোগ, দলের কোনও জরুরি বৈঠকে ডাকা হয় না।
রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কৃষ্ণ। দলীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারকে একহাত নেন তিনি। রায়গঞ্জের বিধায়কের অভিযোগ, আমাকে না জানিয়েই জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাসুদেববাবু সংগঠনের সবাইকে নিয়ে চলছেন না। তিনি মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে নিয়ে চলছেন।
দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমার অন্তরাত্মা বলেছে যে সাংবাদিক বৈঠক করে সব জানানো প্রয়োজন, তাই বলছি। যেখানে বিধায়কের সম্মান নেই, সেখান থেকে সরে যাওয়াই ভাল। বাসুদেববাবু বলেছিলেন, বাঁশি ওনার হাতে। উনি বাঁশি বাজিয়ে সংগঠন চাঙা করুন, আমি বিধায়ক হিসেবে দলের কাজ করব।’
আরও পড়ুন: ‘শিরদাঁড়া বিক্রি করব না’, দিল্লিতে যাওয়ার আগে হুঙ্কার অভিষেকের
নিজের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছু বললেননি বিধায়ক। তৃণমূলের যোগ দিতে চলেছেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি শুধু বলেন, ‘ভবিষ্যতে কী করব, তা ভবিষ্যৎই বলবে।’ সূত্রের খবর, শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, শনিবারই সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কৃষ্ণ কল্যাণীও আসবেন।
গত এক সপ্তাহে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৩ বিধায়ক। সোমবার তৃণমূলে যোগ দেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। মঙ্গলবার বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বিজেপি ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে নাম লেখান। শনিবার কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে রাজ্যের কড়া আক্রমণের মুখে রাজ্যপাল