কলকাতা: চেয়ারে বসে চা কিংবা কফি খেতে খেতে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে চান! কিংবা গরুমারা অথবা জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে পশুদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে যেতে চান! এবার পশুদের আনাগোনা, তাদের গর্জন থেকে পাখিদের কলরব সবই উপলব্ধি করতে পারবেন। দর্শকদের জন্য আলিপুর চিড়িয়াখানায় তৈরি হচ্ছে বিশেষ অডিটোরিয়াম। সেখানে থাকছে ভার্চুয়াল শো-এর ব্যবস্থাও। এছাড়াও ঢেলে সাজানো হচ্ছে চিড়িয়াখানা। নতুনরূপে আলিপুর চিড়িয়াখানা দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে পুজোর আগেই।
ইট কাঠের দেওয়ালে বসেই অনুভূতি হবে গভীর জঙ্গলের। সারা দেশের মধ্যে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় এই ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। চিড়িয়াখানার বেশি সংখ্যক পর্যটক টানতে এই ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের। আলিপুর চিড়িয়াখানার ঠিক বিপরীতে রাম ব্রহ্ম সান্যাল স্মৃতি সদনে তৈরি হচ্ছে বিশেষ এই অডিটোরিয়াম।
ঢেলে সাজানো হচ্ছে আলিপুর চিড়িয়াখানা
১৮৭৫ সালে আলিপুর চিড়িয়াখানার জন্ম হয়। বেশি সংখ্যক পর্যটক টানতে আলিপুর চিড়িয়াখানাকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ভার্চুয়াল শো ছাড়াও থাকছে আধুনিক রেস্টুরেন্ট। রয়েছে ওপেন থিয়েটারের ব্যবস্থাও। ইতিমধ্যে টেন্ডার পর্ব শেষ হয়েছে। ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ও আলিপুর চিড়িয়াখানার যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অডিটোরিয়ামটি গড়ে উঠছে। মূল চিড়িয়াখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পর্যটক টানতেই এই উদ্যোগ। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ধ্যার পরও খোলা থাকছে এই অডিটোরিয়াম।
আরও পড়ুন: উপাচার্য বিতর্কে বিশ্বভারতীতে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে তৃণমূল
শুধু অডিটোরিয়ামই নয়। ঢেলেও সাজানো হচ্ছে চিড়িয়াখানাও। শিম্পাঞ্জি (বাবুকে) পর্যটকদের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে চারদিকে কাচের ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে। আনা হচ্ছে নতুন অতিথি সবুজ অ্যানাকন্ডাকে। তার জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা কাচের ঘর। বাড়ানো হচ্ছে জিরাফের খাঁচাও। তৈরি করা হচ্ছে বন্য কুকুর ও নেকড়েদের জন্য আলাদা খাঁচা। বিদেশি পরিযায়ী পাখিদের স্থায়ী বাসিন্দা করে দিতে জলাশয়ের উপর বিশাল খাঁচা। দুই জলাশয়কে যুক্ত করতে দুটি পৃথক ব্রিজ বানানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ‘দুয়ারে রেশন’, প্রকাশিত গাইডলাইন