কাবুল: আফগানিস্তানে নয়া তালিবান সরকারের প্রধান হতে চলেছেন মোল্লা বরাদর। কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠনটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হলেন মোল্লা বরাদর। তালিবানের শীর্ষনেতা মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব ও শের মহম্মদ স্ট্যানিকজাই সংগঠনে নিয়োগ করেছিলেন মোল্লা বরাদরকে। দীর্ঘদিন কাতারের দোহাতে তালিবানের পলিটিক্যাল অফিসের দায়িত্ব ছিলেন বরাদর। নয়া সরকার গঠনের আগে শুক্রবার তালিবানের শীর্ষ নেতৃত্ব ইতিমধ্যে কাতার থেকে চলে এসেছেন কাবুলে। এমনটাই জানা গিয়েছে তালিবান সূত্রে।
গত ১৫ অগাস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তারপর গোটা দেশের পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। দেশ ছেড়ে বিদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় হাজারও আফগান। অন্যদিকে, তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়ে নর্দান অ্যালায়েন্সকে সম্মূখসমরে অবতীর্ণ করেন পঞ্জশির প্রদেশের প্রখ্যাত নেতা আহমেদ মাসুদ এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। সরকার গঠনের পূর্বে এই সমস্ত চ্যালেঞ্জ সামনে আসায় রীতিমতো বেকায়দায় পড়তে হয় তালিবানকে। ঘরে বিদ্রোহ সঙ্গে আন্তর্জাতিমহলে নেতিবাচক সুর। উভয় মিলে বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় কট্টরপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠীটিকে। এমন অবস্থায় দ্রুত সরকার গঠনই একমাত্র রাস্তা ছিল বরাদর-স্ট্যানিকজাইদের কাছে।
আরও পড়ুন: লক্ষীর ভাড়ার শূন্যে, ঘরে বিদ্রোহ মোকাবিলাই চ্যালেঞ্জ তালিবানের
কূটনৈতিকমহলের ধারণা সরকার গঠন করলেও অদূর ভবিষ্যতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে নয়া সরকারকে। এই মুহূর্তে লক্ষীর ভান্ডারের বেহাল দশাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ তালিবানের। গত দুদশক দীর্ঘ লড়াইয়ের পর দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছা়ডিয়েছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার। আফগানিস্তানের অর্থনীতিও খাদের কিনারে টলমল। সুতরাং যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে সাজিয়ে তুলতে আগামী দিনে বিদেশী বিনিয়োগ একান্ত প্রয়োজন তাঁদের। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের অর্থের চাহিদা বাড়ছে। সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে ১০ বিলিয়ন ডলার জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন দেশটির। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা ফিচের রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে। এছাড়াও দেশটিতে প্রবল খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণ করা বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে নয়া সরকারের কাছে। কট্টরপন্থা ছাড়াও ইসলামিক আমিরাতের প্রধান কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করেন তা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।