জলপাইগুড়ি ও ডুয়ার্স: একটানা বৃষ্টির পর ডুয়ার্সে মাঝে দু’দিন আকাশ ছিল রোদ ঝলমলে। ধীরে ধীরে নদীগুলি থেকে জল নামতে শুরু করেছিল। এরই মধ্যে বুধবার রাত থেকে ভুটান পাহাড় এবং ডুয়ার্সে একটানা বৃষ্টির জেরে জল বাড়ল বানারহাট-বিন্নাগুড়ির হাতিনালা সহ ডুয়ার্সের একাধিক নদীতে। ফের একবার রুদ্রমূর্তি ধারণ করল হাতিনালা। এর আগে ২৫ অগস্ট হাতিনালার জলের স্রোতে ভেঙে পড়েছিল গয়েরকাটা থেকে হলদিবাড়ি চা বাগান হয়ে বিন্নাগুড়ি যাওয়ার লালপুল।
জল কম থাকায় এতদিন হাতিনালার ওপর দিয়েই যাতায়াত করছিলেন চা বাগানের শ্রমিকরা। হলদিবাড়ি চা বাগান থেকে প্রচুর শ্রমিক কাজে যান বিন্নাগুড়িতে। তাঁরাও হাতিনালার ওপর দিয়ে যাতায়াত করছিলেন। বুধবার রাতের বৃষ্টির পর রীতিমতো ফুঁসছে হাতিনালা। ব্রিজ ভাঙা, নদীরও ভয়ঙ্কর রূপ, তাই নদী দিয়েও পারাপারের উপায় নেই। এই অবস্থায় অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। কেউ কেউ আবার সাইকেল নিয়ে মোড়াঘাট চা বাগান হয়ে ঘুরপথে পৌঁছচ্ছেন কর্মস্থলে।
বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আবেদন জানানো হয়েছে, একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য। পাশপাশি হাতিনালার জলে কয়েকটি চা বাগানের ক্ষতি হয়েছে। হাতিনালার জলের স্রোতে পার ভেঙেছে বেশ কয়েকটি চা বাগানের। ডুয়ার্সের বানারহাট বিন্নাগুড়ি, চামুর্চি এবং ভুটান পাহাড়ে এখনও বৃষ্টি চলছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে অবস্থার অবনতি হবে এমনটাই আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ভাঙতে সক্ষম করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ‘মিউ’, চিন্তায় হু
রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা৷ অবিরাম বৃষ্টির ফলে করলা নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে করলা নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে জলপাইগুড়ি পরেশ মিত্র কলোনী এলাকায়। বৃষ্টির জল জমেছে শহরের পান্ডাপাড়া, মহামায়াপাড়া, অরবিন্দনগর সহ বিভিন্ন এলাকায়। অন্যান্য বছর বর্ষাকালে এই সময় বেশ কয়েকবার এই এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়। এই বছর এই প্রথমবার জলমগ্ন হল শহরের বিভিন্ন এলাকা, দাবি শহরবাসীর।
